মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবির) চাকুরী করতে গিয়ে গ্যাড়াকলে পড়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার জয়রাপুর গ্রামের রেজওয়ান নামের এক ছাত্র।
রেজওয়ানের নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে উদোর পিন্ডি বুধুর ঘাড়ে চাপি দিয়ে রেজওয়ানের বিরুদ্ধেই গ্রতারনা মামলা করেছে প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেনএলাকাবাসী।
ঘোড়াঘাট উপজেলার জয়রাপুর গ্রামের মো. নুরুন্নবীর ছেলে মোঃ রেজওয়ান হোসেন একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান।
এইচএসসি পাশ করার পর সাংসারিক অসচ্ছলতার কারনে সে কর্মসংস্থানের সন্ধানের জন্য গেলো ২২ নভেম্বর/ ২০২১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিপাহী পদে ভর্তির জন্য দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি) মাঠে উপস্থিত হয়। প্রাথমিক নির্বাচনে তাকে বাতিল বলে গণ্য করা হয়। বাড়িতে ফিরে আসে রেজওয়ান।
ফিরে আসার পর ওই দিনগত রাতেই আলী হাসান নামে একজন বিজিবি অফিসারের পরিচয় দিয়ে ০১৮৩২১১১৮৬৬ নম্বর থেকে আমার মোবাইল ফোন নং ০১৭৯৭৬২২৭৯৩ এ ফোন দিয়ে রেজওয়ানকে চাকরি দেয়ার কথা বলেন এবং তার বিনিময়ে ১২ লাখ টাকা দাবি করেন। তার কথা অনুযায়ী চুক্তিপত্র করা হয়।
তিনি রেজওয়ানের নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ পত্র, রেজওয়ানের ও তার পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের মূলকপি সহ যাবতীয় কাগজপত্র নেন। চুক্তি অনুযায়ী ১০০ টাকা মূল্যমান ৩ টি নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। অবশিষ্ট ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাকী রেখে চুক্তিপত্রটি নিয়ে যান।
পরে ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর একটি নিয়োগ পত্র প্রদান করেন। নিয়োগ পত্রটি নিয়ে জেওয়ানকে চট্টগ্রাম সাতকানিয়া বিজিবি ট্রেনিং সেন্টারে যেতে বলেন। নিয়োগ পত্রটির প্রতি তার সন্দেহ হয়। রেজওয়ান ও তার বাবা এলাকার অভিজ্ঞ লোক দ্বারা যাচাই বাছাই করার পর জানতে পরেন নিয়োগপত্রটি ভূয়া ।
এই বিষয়টি বিজিবি অফিসার আলী হাসানকে জানালে তিনি তার দেয়া নিয়োগ পত্রটি সঠিক বলে দাবি করেন এবং অবশিষ্ট টাকা দাবি করেন। এতে অসম্মতি জানালে তার বিরুদ্ধে ওই সাদা ষ্ট্যাম্পের স্বাক্ষর করা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মামলা করবেন বলে হুমকি দেয়।
দাবিকৃত চুক্তির টাকা না দেয়ায় ঝিনাইদহ জেলা সদরের জুনায়েদ আলীর ছেলে মানোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে বাদী করে ঝিনাইদহ জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আমলি আদালতে রেজওয়ানের বিরুদ্ধে একটি উল্টো প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সিআর১০৮৯/২১, তাং ১৫/১২/২০২১ইং। রেজওয়ান ওই মামলায় জামিনে রয়েছে।
মনোয়ার হোসেন মামলায় উল্লেখ করেছেন, রেজওয়ান হোসেন তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। বাকী ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাও দাবি করেন রেজওয়ান।
রোজোয়ান হোসেন দাবি করেন, স্বাক্ষর নেওয়া ১০০ টাকা মূল্যমান ৩ টি নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে ইচ্ছেমতো লিখে নিয়ে তার নামে মিথ্যা প্রতারনা মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতারক মামলার বাদী মানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। রোজোয়ানসহ এলাকাবাসী ভূয়া প্রতারনা মূলক মামলাটি প্রত্যাহারসহ ওই প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।