
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন
কক্সবাজার প্রতিনিধি ঃকক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকায় বনদস্যুরা বনাঞ্চল উজাড় করায় বাঁকখালী রেন্জের আওতায় প্রায় ৩৯০ হেক্টর বিরানভুমিতে পরিনত হয়। দীর্ঘ ৩ যুগ পর এসব পাহাড়ে নতুন করে বনায়ন করে আগের অবস্থায় ফিরয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এসব বিরানভুমিতে প্রায় ৫১ লাখ চারা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সরকার।
গত শনিবার সকাল থেকে পাহাড় গুলোতে চারা লাগানো শুরু হয়ছে।
এসব চারা গাছ গুলোতে রয়েছে আমলকি,হরিতকি, গয়রা, গর্জন, চাপালিশ, বৈলাম, সিভিট, জাম, চাপাতুল, কৃষ্নচুড়াসহ বিভিন্ন জাতের চারাগাছ ।
গর্জনিয়া ও ঈদগড় ইউনিয়নের প্রায়১০ থেক ১২ একর জায়গায় নতুন চারা লাগানো হয়েছে ।
বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন সরকার আরও বলেন, টেকসই বন সৃজন, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার এবং হারিয়ে যাওয়া বন ফিরিয়ে আনতে এই বনায়ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। বন বিভাগের পরিত্যাক্ত জায়গাতে সবুজ বনাঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে । সবুজ বনায়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই তিন বছরের মধ্যে কক্সবাজার জেলাতে আর ন্যাড়া পাহাড় দেখা যাবেনা বলে মন্তব্য করেছেন, কক্সবাজার বনবিভাগের বনকর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন সরকার ।
আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চকরিয়া, রামু, ও কক্সবাজার সদর উপজেলার অন্তত ২০ হাজার একর বিরান ভুমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ চারা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বনকর্মকর্তা।