এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ও গলাচিপা সদর ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটি ঠিক মাঝ বরাবর ভেঙে গিয়ে বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সেতুটির মাঝ বরাবর ধসে গিয়ে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন হাজারো পথচারী, শিক্ষার্থী ও যানবাহনচালক চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। দৈনিক অপরাধ তালাশ পেজে ভিডিও নিউজ প্রকাশিত হলেও যেন দেখার ভান করে বসেছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা। বর্ষার সময় সেতুটি ধসে পড়ার মতো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে মানুষজন যাতায়াত করছেন।
পানপট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গলাচিপা উপজেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য এ সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ তা বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। প্রতিদিন পথচারীসহ হাসপাতালগামী রোগীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়।”
স্থানীয় দোকানি হালিম পাহলান ও মামুন বলেন, “এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। এখন ভাঙাচোরা অবস্থার কারণে হেঁটে পার হতেও ভয় লাগে। এটি দ্রুত সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা জরুরি। নাহয় দুর্ভোগ ভোগান্তির সীমা থাকবেনা।
গলাচিপা উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সেতুর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং আপাতত সংস্কারের জন্য খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।