মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
রামু উপজেলার মহিষকুম এলাকায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল করে হচ্ছে তামাকের চাষ। স্থানীয় লোকজন ব্যঙ্গ করে বলেছেন এই তামাক চাষ নাকি বলে বিষের চাষ। ফসল উৎপাদনের জমিতে তামাক চাষ হলেও প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোন তৎপরতা নেই। বাঁকখালী নদীর কচ্ছপিয়া, মহিষকুম, ফতেখাঁরকুল, জোয়ারিয়ানালাসহ অন্তত ১২টি পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, নদীর তীরের বিপুল পরিমাণ সরকারি খাসজমি দখল করে সেখানে তামাকচাষ করে আসছে।
গর্জনিয়া এলাকার চাষী বদরুল আলম বলেন, ‘আগে এই জমিতে মুলা, বেগুন, মরিচ ও ঢেড়সের চাষ হতো। এবার তামাক কোম্পানির লোকজন এসে নগদ টাকা ও বীজ দিয়ে গেছে। গরিব মানুষ, বেশি লাভের আশায় তামাক চাষে নেমে পড়েছি।’
কচ্ছপিয়ার চাষি গোলাম হোসেন (৩৬) বলেন, নদীর তীরের মাটি উর্বর, তামাকের বীজতলা ভালো হয়। কোম্পানির লোকজন ভূমি অফিসের কর্মচারীদের ম্যানেজ করে নদীর তীরে তামাক চাষ করছেন।
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এবারও ব্যাপক আকারে ফসলি জমিতে তামাক চাষের কাজ চলছে। এখন থেকে প্রশাসন তৎপর না হলে ফসল উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাবে।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ বলেন, সরকার তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করার জন্য চাষিদের নিয়ে নানা কর্মসূচি চালু করলেও এখানে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ কারণে তামাক চাষ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী কয়েক বছরে এখানে ফসল উৎপাদনের কোনো জমি পাওয়া যাবে না।
রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বাঁকখালী নদীর তীরে তামাকের বীজতলা তৈরির খবর তাঁর জানা নেই। তবে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে তিনি চাষিদের নিয়ে বৈঠক চলছে