• বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাউফলে মাদ্রাসায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, সুপারের কক্ষে মারল ৩টি তালা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দশমিনায় কেঁচো সার উৎপাদন ও ব্যবহার বিষয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কালীগঞ্জে যুবককে হত্যার অন্যতম আসামি বাউফলে র‍‍্যাবের হাতে আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। রামগতিতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বিএনপি নেতা সোহেল-নবীউল্লাহসহ ১১০ জনকে অব্যাহতি,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় ট্রাইব্যুনালে ২৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১৫ লাখ ডলারের জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম দিল চীন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সারা দেশে কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে সহজলভ্য করলে প্রচুর সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে: আইন উপদেষ্টা,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা

ময়রা যেমন মিঠাই তেমন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ৩০৭ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

উনপঞ্চাশ পবন পেরিয়ে জীবনের মাঝপথে দাঁড়িয়ে একটু পিছন ফিরে তাকাই। মনে হয় দাঁড়িয়েছি হেমন্তের প্রথম প্রহরে- মেঘগুলো সারি ভেঙ্গে বিদ্রোহী বকের মতো এলোমেলো কুন্ডলী পাকিয়ে ছেয়ে ফেলছে রবির কর। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় রোদ মেঘের লুকোচুরি যেন চলছে রোমাঞ্চকর। ভোরের হালকা কুয়াশার চাদর ভেদ করে ঘাসের ডগায় সোনালি রোদ্দুরের প্রিয়তম পরশে চোখে পড়ে মুক্তোর মতো শিশিরকণা। নীলাভ আকাশে অসীমের পানে তাকিয়ে নিজেকে হারিয়ে তাই খুঁজে ফিরি বারে বার। আর কত কাল!
নাম না জানা কোন এক কালে বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে ছিলেম অদৃশ্য অনুকণা হয়ে। প্রকৃতির নিয়মেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তৃণলতা থেকে সুশোভিত শস্যকণা। উন্মুক্ত উদার পথে সুবিশাল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ পেরিয়ে এক সময় ঠাঁই মেলে গৃহপালিতের উদরে। নানান প্রক্রিয়ায় কোন এক মহেন্দ্র ক্ষণে নির্যাস মেলে পরিশুদ্ধ দুগ্ধরূপে। ক্রমেই সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সীমাহীন ঘাত-প্রতিঘাত আর প্রতিকুলতার নিষ্ঠুরতা পেছনে ফেলে পাহাড়সম অটল আর অবিচল থেকে অম্ল মধুর পরিণয়ে পরিণতি ঘটে বহু প্রত্যাশার জাতক ‘ছানারূপে’।
এরপর শুরু হয় ময়রার সন্ধান। নিজেকে প্রমাণের আপ্রাণ প্রচেষ্টা। আশির দশকে কন্যা দায়গ্র¯’ পিতা যেভাবে তার অতি আদরের হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসার ডিবা মেয়েটিকে উপ¯’াপন করেন- পাত্র পক্ষের সামনে একটু অনুগ্রহ লাভের আশায় ঠিক তেমনি, হয়ত কখনো বা তার চেয়েও বেশি! তিন-তিনবার বিসিএস ভাইভাসহ পিএসসির বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের হাত বদলিয়ে পাড়ি জমায় দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে অশেষ আগ্রহভরে। সুদীর্ঘ দুই যুগে অর্ধশতেরও বেশি নিজেকে প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েও অবশেষে ‘উনপাঁজুরে’ উপাধিতেই পরিতৃপ্ত! আজব পৃথিবীর রহস্যময় বন্ধুর চলার পথে সবাইকেই কিছু নিয়ম মেনে নিতে হয়; কিš‘ নিয়মের বাইরেও যে অনেক নিয়ম থাকে সে নিয়ম ভাঙ্গার সাধ্য কার! এ যেন নিজেকেই নিজের পথ তৈরি করে নিজের আলোয় নিজেকে জ্বলতে আমৃত্যু প্রচেষ্টা বৈকি!
বাস্তবতার নির্মমতায় ‘ছানা’ এখন তাই ছানা সাহেব! নিজেকে আরও সমৃদ্ধ ও শানিত করতে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে রসায়নশাস্ত্রে এমফিল ও পিএইচডি অ্যাওয়ার্ডটাও যুক্ত হয়েছে তার রণাঙ্গনের সারথি হয়ে। লক্ষ্য একজন হৃদগ্রাহী সুনিপুণ ময়রার সাহচর্য এবং জাতির প্রয়োজনে ছানা সাহেব হতে ছানা বাহাদুরে অনুরণন। যে দোকানে ছানার বর্তমান অব¯’ান, সেটি মোটেও পরিপাটি ও পরি”ছন্ন নয়; মাঝেমধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়, বাসি ও ভেজাল খাবার, ডানা ভাঙ্গা মাছির উৎপাত আর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে আ”ছন্ন সবার থেকে তাই নিজেকে পরিশুদ্ধ রাখতে চলছে সে স্বতন্ত্র পথে। নীতি ও নৈতিকতার মোহে আবিষ্ট হয়ে- অসীম ত্যাগ, দৃঢ়তা, ধৈর্য ও সংকল্পকে আঁকড়ে ধরে সর্বপ্রকার কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্যকে প্রশ্রয় না দিয়ে স্রোতের বিপরীতে একান্ত সন্তর্পনে অনাদিকাল।
পরিবেশের সাথে বেমানান এই ‘ছানা’ নিয়ে দোকানদারও অনেকটাই অনাসক্ত ও চিন্তিত; এর চেয়ে বরং দুগ্ধই ভালো- চা, কফি থেকে শুরু করে সকলের সাথে মেশানো যেত, লাভও মন্দ হতো না! তবে খদ্দের হিসেবে সেবা গ্রহীতারা বেজায় খুশি এমন ছানার সান্নিধ্য পেয়ে। অনেকে আবার সহৃদয়তার আফসোস ফেলে বলেন- এ দোকানের চেয়ে বরং অন্য কোন মিস্টান্ন ভান্ডারই আপনার জন্য মানানসই। উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের অনেক সেবা গ্রহীতার মুখেও এমন কথা শুনেছে সে বহুবার। অনেকের মন্তব্যের সাথে একটু দ্বিমত তার চিরকালের; কারণ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ এবং জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ‘সাহেব ও মোসাহেব’ কবিতাটির যথাযথ ব্যবহারের অপরিপক্কতা রয়েছে এই ‘ছানার’।
বাস্তবিক-ই ছানা তো ছানাই! ময়রার সান্নিধ্য না মেললে এর মূল্য কোথায়! এ দেশের পরতে পরতে প্র”ছন্নভাবে লুকিয়ে রয়েছে নাম না জানা অজস্র ছানা, যারা ময়রার যথাযথ প্রক্রিয়াজাতের অভাবে প্রস্ফুটিত হতে পারছে না সুস্বাদু ও মূল্যবান মিঠাই রূপে। ‘ময়রা যেমন মিঠাই তেমন’- এ যেন আবহমানকালের চিরসত্য কথন। জাতীয় উন্নয়নে সৎ ও যোগ্য ময়রার প্রয়োজনীয়তা তাই অনস্বীকার্য। জাতিকে মানসম্মত মিঠাই উপহার দিতে সুনিপুণ ময়রার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে সর্বাগ্রে। সময়ের প্রয়োজনে এ বোধদোয় জাতির বিবেককে কিভাবে আলোড়িত করবে সেদিকেই অধীরচিত্তে অপেক্ষায় থাকবে উনপাঁজুরে এই জনগোষ্ঠী। [লেখক: ড. মুহাম্মদ আব্দুল মুমীত


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ