
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্মবাজারের টেকনাফে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় আবারও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এবার অপহরণের শিকার হয়েছেন আটজন, তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণও চাওয়া হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন স্বজনরা।
অপহৃতরা হলেন—টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রইক্ষ্যং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।
বুধবার (২৭মার্চ)সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রইক্ষ্যং বাদিবন এলাকায় জঙ্গল কাটা ও গরু চরাতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন এই ৮ জন। অপহৃতদের মুক্তির জন্য পরিবারের কাছ থেকে জনপ্রতি তিন লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘আমার এলাকার ৮ জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরনকারীরা তুলে নিয়ে গেছে। তারা স্বজনদের কাছে কল দিয়ে জনপ্রতি ৩লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেছে। আমরা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।তবে যে হারে অপহরণ হচ্ছে সাধারণ মানুষ খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
টেকনাফ হোয়াইক্যংএলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘যেভাবে অপহরণ হচ্ছে দিনেও ঘর থেকে বের হতে ভয় করে।’
অপহরণ ঠেকাতে পুলিশ কঠোর হচ্ছে না বলে সমালোচনাও করেছেন তিনি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওসমান গনী বলেন, ‘হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকা থেকে ৮ জনকে অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।’
এর আগে মঙ্গলবার(২৬মার্চ) হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাহাড়ি এলাকায় গরু চরাতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন দু’জন তারা এখনও ফেরেননি এমনটাই জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওসমান গনি।