• শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মির্জাগঞ্জে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দিয়ে মামলা করায় বাদী কারাগারে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় স্লুইজ গেট সহ বেড়িবাঁধের বেহাল অবস্থা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ২০২৬ সালে সম্পূর্ণভাবে চালু হতে যাচ্ছে পায়রা বন্দর …… চেয়ারম্যান মাসুদ ইকবাল/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আগামী ১০ আগস্ট ক্যাম্প ন্যুতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে বার্সেলোনা,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আজ থেকে শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা, পরীক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ১২ লাখ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ওভার থিংকিং সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন মুক্তির উপায়,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা প্রশ্নপত্র ফাঁসের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার: শিক্ষা উপদেষ্টা,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালন ও দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য মোকাবেলায় আরও কার্যকর উপায় খুঁজে বের করতে মেটাকে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন ও দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা জরুরি/ক্রাইম বাংলা।

সম্পাদকীয় / ১১৩ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪


শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রাণ বাঁচাতে অনেক থানা শূন্য করে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। পরদিন থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির ডাক দেয় বাংলাদেশ পুলিশ অধস্থন কর্মচারী সংগঠন। ফলে সারাদেশের সব থানা পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে। এতে জাতীয় জরুরি সেবার কার্যক্রমও মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এরপর থেকেই মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। রাতে অলি-গলিতে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয়রা দল বেঁধে পাড়া-মহল্লায় পাহারা দিচ্ছে। মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা ও অন্যান্য এলাকায় ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠনের চেষ্টা চলছে, তবে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা কাজে যোগদান করতে শুরু করেছে। আশাকরি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কতটি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জনসংযোগ শাখা থেকে তা বলা যায়নি। পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও থানাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি নেই। দেশের থানাগুলো এখন কার্যত অচল। কিছু থানার নিরাপত্তায় আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। আবার কিছু থানা পাহারা দিচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কার্যক্রম একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্য নিয়ে এ সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়। যেকোনো অপরাধে কেউ আক্রান্ত হলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে নিকটতম থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। অনেক থানা পুলিশশূন্য হয়ে পড়ায় সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা জরুরি। গত কয়েক দিনে ৯৯৯ নম্বরে যেসব কল এসেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতি ও অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ। অল্প কিছু ছিল পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা। এখন যাঁরা ৯৯৯ নম্বরে কল করছেন, তাঁদের বলা হচ্ছে, থানায় পুলিশ সদস্য নেই। এমনকি থানাগুলোয় পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হওয়ার পর কল করেও যথেষ্ট সহায়তা পাওয়া যায়নি। সহযোগিতার জন্য কল করা ব্যক্তিদের সেনাবাহিনী থেকে সরবরাহ করা নম্বর দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে কার্যক্রমটিকে এখন সচল করে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা আশা করব, এর মধ্য দিয়ে দ্রুত জরুরি সেবাটি আবার চালু হবে এবং পুলিশ আবারও ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াবে। সর্বদা নেয় ও সত্যের পথে থাকবে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ