এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর বাউফলে নিখোঁজের তিন দিন পর খালে ভাসমান অবস্থায় উর্মি আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নায়ায়নপাশা গ্রামের স্লুইস গেটের পাশে খালে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
উর্মি আক্তার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের অটোরিকশা চালক নজরুল বয়াতি ও আমেনা বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করত উর্মি। তবে আর্থিক সংকটের কারণে কিছুদিন আগে তার মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
উর্মির মা আমেনা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মেঝো মেয়ে লামিয়াকে সঙ্গে নিয়ে প্রকৃতির ডাকে বাইরে যায় উর্মি। এরপর হঠাৎ ঝাঁঝালো এক গন্ধে লামিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময়েও মেয়েরা না ফেরায় আমি বাইরে গিয়ে লামিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পাই। কিন্তু উর্মিকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে চিৎকার শুরু করি। পরে মাথায় পানি ঢেলে লামিয়াকে সজ্ঞান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে কেউ একজন আমার মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। ভয়ে উর্মি কারা তাকে হুমকি দিচ্ছে তা বলেনি। আমি মনে করি, আমার মেয়েকে অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
লামিয়া জানান, উর্মি টর্চলাইট নিয়ে টয়লেটে ঢোকে।আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমি এক ধরনের গন্ধ পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। তারপর কী ঘটেছে, কিছুই মনে নেই।
থানা সূত্রে জানা যায়, উর্মি নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা আমেনা বেগম শুক্রবার বাউফল থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। এর পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।