বরগুনায় বালিশ বানানো কে কেন্দ্র করে সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালান একটি চক্র। জানা যায় গত বৃহস্পতিবার একটা বিছানার চাদরে ৩ গজ , ৪ টা বালিশের কভারে আধা গজ করে ২ গজ,মোট ৫ গজ কাপরের মজুরী সহ ১৫৮০ টাকা পরিষদ করে দোকানীর কাছ থেকে থেকে নিয়া যায়। আর একটি বালিশের কভার প্রয়োজন হলে টাকা দিয়া আধা গজ কাপড়ে একটা কভার বানানোর জন্য একজন পুলিশ সদস্যকে পাঠিয়েছিলেন ওসি। ঐ পুলিশ সদস্যকে গ্রামীন বস্ত্রালয়ের মালিক নজরুল উত্তেজিত হয়ে বলেন খুচরা-মচরা বিক্রি করি না, ওসি পাঠাইছে তাতে কি হইছে। এই বলে তিনি পুলিশকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন। ঘটনা শুনে ওসি নিজে বিষয়টি জানতে আসলে তার সাথেও খারাপ আচরন করেন ব্যবসায়ী নজরুল। এ বিষয় নিয়া কথার কাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনা শহরের
বঙ্গবন্ধু সড়কের কাপড় পট্টিতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামীণ বস্ত্রালয়ের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম আমার দোকানে এসে একটি বিছানার চাদর ও চারটি বালিশের কভারের জন্য কাপড় কেনেন। পরে দোকনেরই দর্জি সেলিম খানের কাছে চাদর ও বালিশের কভার তৈরি করতে দিয়ে যান। রোববার একজন পুলিশ এসে বিছানার চাদর ও চারটি বালিশের কভার নিয়ে যান।
ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে আবারও একজন পুলিশ দোকানে এসে আরেকটি বালিশের কভার তৈরির জন্য আধা গজ কাপড় দিতে বলেন। আধা গজ কাপড়ে একটি বালিশের কভার তৈরি করা যায় না। তাই আমি কাপড় বিক্রি করি নাই। বাহির থেকে কিনতে বলি।
কিছু না বলে ওই পুলিশ সদস্য দোকান থেকে চলে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি জানতে পেরেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন সময় খারাপ মন্তব্য করে আসছিলেন নজরুল নামের ঐ ব্যক্তি। এখন আমি নিজেই ভুক্তভোগী। তারপরেও কাপড়ের দোকানি পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করেছে শুনে আমি গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে দোকানদার নজরুল আমাকে খারাপ আচরণ করে, আমার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদের সাথে গালাগালি করে তখন বিষয়টি আমি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরকে জানালে তিনি আমাকে সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস্ত করেন বলে জানিয়েছেন।