এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক রোগীর অভিযোগ রয়েছে। তিনি কারো কথা শুনেন না। নিজের খেয়ালখুশি মতো ডিউটি করেন। এমনকি ডাক্তারদের কথাও আমলে নেন না অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. শহিদুল ইসলাম। তার এমন অপেশাদার আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করছে রোগী ও স্বজনরা।
এদিকে ওই চালক মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে তার অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। এ ঘটনায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্স চালককে ফোন করা হয় সকাল ৭:৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি ৯:৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আসেন চালক। তার এই অবহেলার কারণেই বাউফল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বিলবিলাস গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. সানু (৫০) মারা গেছেন।
সানুর চাচাতো ভাই মো. জাকির হোসেন বলেন, বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। আমরা ড্রাইভারকে এবাধিকবার কল করেছি। কিন্তু তিনি তা আমলে নেননি। হাসপাতালে মুমুর্ষ রোগী নিয়ে আমরা দুই ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করেছি। ড্রাইভারের অবহেলায় ক্রিটিকাল রোগী নিয়ে সময়ক্ষেপনের কারণেই আমরা রোগীকে বাঁচাতে পারিনি। আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।
সানুর আপন বড়ো ভাই ফজলুর রহমান বলেন, সঠিক সময়ে অ্যাম্বুলেন্সের চালক আসলে আমার ভাইকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারতো। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার অবহেলা করেছে। সে আমাদের অনেকক্ষণ অযথা বসিয়ে রেখেছে। তার অবহেলার কারণেই আজ আমার ভাই দুনিয়াতে নেই। আমি বিচার চাই।
সানুর স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক বাসায়ই ছিল। কিন্তু আমাদের ৫ মিনিট বলে বলে কালক্ষেপন করে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। আমি মনে করি আমার স্বামীকে সঠিক সময়ে বরিশাল হাসপাতালে নিতে পারলে বাচাঁতে পারতাম। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ। আমি তাদেরকে বলেছি আমি ১ ঘণ্টার মধ্যে আসতেছি। আমি ১ ঘণ্টার মধ্যেই এসেছি। রাত নাই দিন নাই আমি সব সময় ডিউটি করি। দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ দিলে আমি শাস্তি মেনে নিব।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা: ডা. আবদুর রউফ বলেন, রোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।