কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
কলাপাড়ায় বিএনপিথর সমর্থিত একটি পরিবারের সদস্যরা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ অনুসারীসহ একাধিক কুচক্রিমহলের ইন্ধনে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন নীলগঞ্জ ইউনিয়ন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ ফজলুল হক মৃধা ।
২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলহাজ্ব মোঃ ফজলুল হক মৃধা বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিখিল কর্মকার ও আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক ভাবে ভাবমুর্তি, রাজনৈতিক খ্যাতি ও যশ ক্ষুন্ন করেছে। একই সঙ্গে আমাকে জি.আর ২১৯/২৫ নং ডাকাতি মামলায় জড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে।
প্রকৃত ঘটনা এই যে, কলাপাড়া উপজেলাধীন জে.এল নং ২৩, মৌজা সোনাতলা, এস.এ খতিয়ান নং ৪০৮ এবং বি.এস ১১৬৩নং খতিয়ানের মালিক আমিরাবাদ নিবাসী সঞ্জিব হাওলাদার ও পিরোজপুর জেলা নিবাসী গৌরঙ্গ হাওলাদার, চঞ্চল হাওলাদার এবং টিটু হাওলাদার এর কাছ থেকে চার টি দলিল মুলে আমি নিজে সাড়ে ৭৬ শতাংশ এবং আমার ভাই আঃ রাজ্জাক মৃধা উক্ত সঞ্জিব হাওলাদার ও গৌরঙ্গ হাওলাদার, চঞ্চল হাওলাদার এবং টিটু হাওলাদারের কাছ থেকে সাড়ে ৩৯ শতাংশ মোট এক একরের অধিক জমি ক্রয়মুলে ও চুক্তিপত্র দলিল দ্বারা মালিক নিযুক্ত হয়ে কলাপাড়া সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ৯০৭/২০২৪ এবং ৯০৮/২০২৪ চুক্তি প্রবল মামলার মাধ্যমে ২৯/০১/২০২৫ তারিখ ডিক্রী প্রাপ্ত হয়। এরপর নিখিল কর্মকারের স্ত্রী শিলা রানী ও সুনীল মিত্রের স্ত্রী মমতা রানী মিত্র গং অত্র মামলায় অবৈধভাবে পক্ষ হইলে উক্ত পক্ষ বাতিলের জন্য আমার ভাই আঃ রাজ্জাক বাদী হইয়া মোকাম পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন ১২/২৫ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। পক্ষ বাতিলের জন্য আমার ভাই আঃ রাজ্জাক বাদী হইয়া স্পেশাল জেলা জজ আদালতে অপর আরো একটি সিভিল রিভিশন ২৬/২৫ আনায়ন করেন। উক্ত ২টি মোকদ্দমা বর্তমানে চলমান আছে। মোকদ্দমার জমিতে আমাদের ১২টি দোকান ঘর আছে। যাহা বিভিন্ন লোকের কাছে ভাড়া দেওয়া। সম্পূর্ণ জমি আমাদের দখলে আছে। অভিযোগকারী নিখিল কর্মকার ও তার স্ত্রী শিলা রানী ও সুনীল মিত্রের স্ত্রী মমতা রানী যে জমি দাবী করে সেই জমি সম্পূর্ণ ইতিপূর্বে বিক্রি হওয়ার পর ১৪/০২/২০২৪ইং তারিখের ৭৪২/২৪ এবং ৭৩৯/২৪নং দুই খানা আমমোক্তার নামার মাধ্যমে উক্ত জমির মালিকানা দাবি করেন। নিখিল কর্মকার অবৈধ ও অন্যায়ভাবে জমি পাওয়ার আশায় অনিল সমাদ্দারকে বাদী এবং কৃষ্ণকান্ত সিপাইকে বিবাদী করিয়া মোকাম পটুয়াখালী জজ আদালতে ২৫৯/২০নং মোকদ্দমা আনায়ণ করিলে বিচারের জন্য কলাপাড়া সহকারী জজ আদালতে প্রেরন করেন। যাহার মামলা নং ৯৭১/২১। বিচারে জাল জালিয়াতী প্রমান পাইলে বিজ্ঞ জজ মামলাটি খারিজ করেন। পরবর্তীতে পূণরায় ভূয়া বাদী বিবাদী দেখাইয়া মোকাম কলাপাড়া সহকারী জজ আদালতে দেং মোং ১৭৬/১৯নং মোকদ্দমা আনায়ণ করিলে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ভূয়া ও জাল জালিয়াতী প্রমানিত হওয়ায় মোকদ্দমাটি খারিজ হয়।
উক্ত সুনীল মিত্র নীলগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি। তার ছেলে সুমন মিত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত নীলগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি, মেঝো ছেলে শাওন মিত্র কলাপাড়া কৃষক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ছোট ছেলে শিথিল মিত্র ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়া পুলিশে চাকুরীরত আছে। গত ০৪/০৮/২০২৪ইং তারিখ উল্লেখিত ব্যক্তিগণ সহ সন্ত্রাসী ক্যাডার আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্র নিয়া হামলা ও ভাংচুর করে এবং জন নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেনের বাসার সিসি ক্যামেরা ও জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাদের কর্মকান্ডের জন্য স্থান ত্যাগ করে বর্তমানে গা ঢাকা দিয়াছে। এদের মাধ্যমে নির্যাতিত হয়ে চলছি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব কামরুজ্জামান শহীদ মাতুব্বর, ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মো. কামাল হোসেন গাজী, যুবদল সভাপতি শামসুল হক, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. জামাল হোসেন, ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গাজী আ. জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল হাই মৃধা, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার এবং সরকারী মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রায়হান মৃধাসহ সনাতন ধর্মাবলম্বি নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।