• শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
স্টার ক্লাব ফতেপুরের আয়োজনে নক-আউট অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্ট–২০২৫ উদ্বোধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস,,, দুইটি সমঝোতা স্মারক সই বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ,,,,,, সারাদিনে দুই দফা কম্পনে কাঁপল দেশ, সন্ধ্যার ভূমিকম্পের কেন্দ্র ঢাকার বাড্ডায়,,, আগামী নির্বাচনে নতুন ইতিহাস গড়ার প্রত্যাশা: জামায়াত আমির,,, আমতলীতে ক্লাইমেট স্ট্রাইক পালিত,,,, পাকিস্তানেও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত,,,, পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামির ডিবি হেফাজতে মৃত্যু,,, মানহানি বা অপমানের অভিযোগে মামলার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত: ফয়েজ তৈয়্যব,,,, ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি তারেক রহমানের গভীর শোক,,,

হত্যা মামলা তুলে না নিলে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন বরগুনায়।

রিপোর্টার: / ৩১৪ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০

মোঃ জুলহাস মিয়া বরগুনা
বাদী হত্যা মামলা তুলে না নিলে বোনের মত ভাইকেও হত্যা করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে শনিবার বেলা দুইটার সময় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয় সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত বোনের আপন ভাই গোলাম মোস্তফা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তামান্নার বাবা আবদুল মজিদ, বোন তানিয়া, বোন রাহিমা, ভাই কামাল ও ভাবী শারমিন মুন্নি।
গোলাম মোস্তফা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বোন তামান্না বেগমকে তিন বছর আগে বরগুনা সদর উপজেলার ছোট গৌরীচন্না গ্রামের খোকন মীরের ছেলে শহিদ মীরের নিকট বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে বখাটে শহিদ ও তার পরিবার খোকন মীর, তাসলিমা মীর, তানজিল মীর ও তাইমুন মীর এক লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে বিভিন্ন সময় আমার বোনকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। সর্বশেষ এ বছর ২১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮ টার সময় শহিদ মীর ও তার পরিবারের লোকজন তাদের বসত ঘরে বসে যৌতুকের দাবীতে তামান্নাকে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মুমূর্ষ অস্থায় প্রথমে আমি তামান্নাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাই। তামান্নার অবস্থা অবনতি হলে বরগুনা থেকে ২৪ জুলাই বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তামান্নাকে ৬ আগষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ নভেম্বর তামান্না মারা যায়। গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, বরগুনা থানায় ১ আগষ্ট প্রথমে যৌতুকের দাবীতে তামান্নাকে নির্যাতন করার মামলা করেছি। পুলিশ আসামী খোকনকে গ্রেফতার করেছে। শহিদ আদালতে হাজির হলে জেল হাজতে যায়। পুলিশ অন্য আসামীদের গ্রেফতার করছে না। পুলিশের সাথে আসামীদের গভীর সম্পর্ক। আসামী খোকন মীর ৮ নভেম্বর জামিনে বের হয়ে আমাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। মোস্তফা বলেন, ১৩ নভেম্বর বেলা ১১ টায় খোকন মীর লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ীতে গিয়ে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বলে মামলা তুলে নিতে। মামলা না উঠালে আমাকেও হত্যার হুমকি দেয়। আমার বাড়ী অন্য উপজেলায়। আমাকে বলে মামলা না তুলে বরগুনা আসলে তোমার বোনের মত তোমারও পরিনতি হবে। পুলিশ অন্য আসামীদের গ্রেফতার না করার কারনে খোকন মীর আমাকে হত্যার হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে। পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকায় আমি হতবাক হয়ে যাই। হত্যা মামলার আসামী ঘুরে বেড়ায়। অথচ পুলিশ গ্রেফতার করছেন না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হেলাল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, আমি বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। তামান্না মারা গেছে আমি এখনও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাইনি। আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করতে পারছি না। আসামী খোকন মীর যুগান্তরকে বলেন, মোস্তার অভিযোগ সত্য নয়। আমি মোস্তফাকে হত্যার হুমকি দেইনি। আমরা বাদীর সঙ্গে আপোস করতে চাই বলে তিনি জানান ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ