এর আগে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় প্রেসক্লাবে কতিপয় ভুমিদস্যুরা জমির মালিকানা দাবী করে মিথ্যা সংবাদ সন্মেলন করেছে বলে অংচোলা মাতবর দাবী করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদার, মো: রুবেল সিকদার, মো: ফোরকান মৃধা, অংশে মাতুব্বর, হাচিং মং তাং, মংখেন চো, মং মং, মংচোম্যান, থম্রাউসহ বিভিন্ন রাখাইন পাড়া থেকে আসা ওই সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ের সদস্য জসিম উদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অংচোলা মাতুব্বর বলেন, ১৫ নভেম্বর’র উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন দাগে জমির মালিকানা দাবী করে সংবাদ সন্মেলন করেছে, মো.আবু সাঈদ হাওলাদার, মো.ইসমাইল খান সহ অপর চার জন। এদের মধ্যে আবু সাঈদ’র চাচাতো ভাই উপ-সচিব মো.এনামূল হক। তার নাম ভাঙ্গিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়ের জমি জোর-জবরদস্তি করে দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদের ভয়ে রাখাইন পরিবারের লোকজন স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংখ্যালঘু রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রাপ্য জমি জালিয়াত চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তার বিরুদ্ধেও সংবাদ সন্মেলনে মন্তব্যে করেছে ওই জালিয়াত চক্র’র সদস্যরা। তিনি আরও বলেন, জে. এল নং ১৮, মৌজা- ছোট বালিয়াতলী, এস. এ খতিয়ান নং ১৯/১১৮ তথা বি. এস ৪৪ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে রেকর্ডীয় মালিক আইওয় মগনী ১ আনা অংশের মালিক। এস. এ ১৯৫ তথা বি. এস ১০৮৭ নং খতিয়ানের ১ আনা অংশের মালিক সিলাও মগ। সোনাপাড়া মৌজায় ৯৫ নং খতিয়ানের ১ আনা অংশের মালিক সেলুমা মগনী গং। তেগাছিয়া মৌজায় ১৮২/১৭৭ তথা ৪৮৪/৪৮৫ নং জমাখারিজ খতিয়ানের ১ অংশের মালিক সাইমাচিং মগনী । উপরোক্ত খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিকদের ওয়ারিশগণ থাকিয়া আমরা বিছু জমি বিক্রি করেছি এবং বাকি জমিতে আমরা চাষাবাদ ক্রমে বাড়ি ঘর এবং আমাদের ধর্মীয় বৌদ্ধ মন্দিরসহ বাগান বাড়ি করে বসবাস করছি। মো: আবু সাঈদ হাওলাদারসহ কতিপয় ভ‚মি দস্যু আমাদের এই শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে বিঘ্ন ঘটানোরে জন্য ভুয়া কাগজ পত্র সৃষ্টি করে আমাদের নামে ২৪৯/২০১৯, ৪০৩/২০১৯. ২৭২/২০২০, ৩৮৮/২০২০, ৩২৭/২০১৮, ৫১/২০১৮ দেওয়ানী মামলা করে হয়রানী করে আসছে। উক্ত মামলা চলমান আছে। অপরদিকে, কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম। তিনি রাখাইন সম্প্রদায়ের বিপদে-আপদে অনেক আগে থেকেই এগিয়ে এসেছেন, এখনো আসছেন। তার বাধাঁর কারনে জালিয়াত চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারছে না। তার নাম উল্লেখ করে সংবাদ সন্মেলনে মিথ্যা বানোয়াট প্রচারনা চালানো হয়েছে। এদের ইন্দনদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন অংচোলা।