মোঃ নজরুল ইসলাম।। ক্ষতিগ্রস্ত কিন্ডার গার্টেন এর জন্য বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ এবং সরকার ঘোষিত ১৩ জুন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা বহাল রাখার দাবীতে সারা দেশের ন্যায় ভোলার লালমোহনে উপজেলা কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রতিকী অনশন অনুুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ জুন ২০২১ ইং বেলা ১০.৩০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত লালমোহন চৌরাস্তার মোড়ে এ অনশন অনুষ্ঠিত হয়। অনশনে লালমোহন উপজেলার সকল কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন। অনশনে থাকা কয়েকজন শিক্ষক বলেন, সরকারকে শিক্ষা খাতে গুনগত শিক্ষার মান উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছে কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলগুলো। মহামারী করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় দেড় বছর হলো দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ বেতনভাতা পেলেও কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলগুলোর শিক্ষকগণ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কোন বেতন ভাতা বা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। ফলে কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষকগণ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই বর্তমান সরকারের কাছে কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষকদের জন্য বর্তমান বাজেটে আলাদা বরাদ্ধ রাখার জন্য দাবী জানানো হয়।
পরে লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অনশনকারী শিক্ষকদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করেন। এই সময় তিনি বলেন, মহামারী করোনার কারনে বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলগুলোর শিক্ষকরা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখারও ব্যাপক ব্যাঘাত হচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব-কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষকদের জন্য এই বছরের বাজেটে আর্থিক বরাদ্ধ রাখার পাশাপাশি সরকারের পূর্বঘোষিত আগামী ১৩ জুন শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বজায় রেখে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত।