ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রুহুল আমিনের বাড়িতে ছুটে গেলেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ।
সাদ্দাম খান নামের একটি ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসার অভাবে পা হারাতে বসছে তাকে বাঁচাতে হলে অনেক টাকা দরকার। স্ট্যাটাসটি দেখা মাত্রই অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় কিছু ফল, খাওয়া জন্য চাল নিয়ে রুহুল আমিনকে দেখতে তাদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের আজিজাবাদ গ্রামে ছুটে যায়। রুহুল আমিনের অবস্থা খারাপ দেখে সাথে সাথে কিছু আর্থিক সহায়তা করেন এবং বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গত কয়েকদিন আগে সন্ধ্যার পরে রুহুল আমিন বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকে পিছন থেকে এক বেপরোয়া মোটরসাইকেল তার গায়ে উঠিয়ে দেয়। এতে তার ডান পা ৪ টি ভাঙ্গা দেয়। এছাড়াও তার মাথায় বড় ধরনের আঘাত হয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত বরগুনা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার রুহুল আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দ্রুত বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিছুদিন সেখানে চিকিৎসা নিয়ে টাকার অভাবে বাড়িতে চলে আসেন। এখন টাকার অভাবে তার ভালো কোন চিকিৎসা হচ্ছে না। যেকোনো সময় পা হারাতে পারেন রুহুল আমিন। তার চিকিৎসায় এখনো অনেক টাকা প্রয়োজন। তার এক ছেলে রয়েছে তাও দিনমজুর। বাবার চিকিৎসা চালানোর মতো অর্থ নেই ।
আহত রুহুল আমিনের ছেলে হানিফা বলেন, আমি দিনমজুর, আমার আলাদা সংসার রয়েছে। তারপরও বাবার চিকিৎসা জন্য ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করেছি। তাতেও কিছুই হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন যা আমাদের কাছে নেই । আমাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য আপনি এই প্রথম ছুটে এসেছেন । তাই আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ বলেন, হঠাৎ করে একটি ফেসবুক আইডিতে একটি মানবিক পোস্ট দেখতেম পাই। পরে আমি যোগাযোগের চেষ্টা করলাম এবং আজ আমি তাকে দেখতে এসেছি । সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রুহুল আমিনের অবস্থা আসলেই ভালো না। আমার সাধ্য অনুযায়ী তাকে সহযোগিতা করেছি। আপনারা যারা বিত্তবান রয়েছেন রুহুল আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।
অপরদিকে বরগুনা সদর উপজেলার ৩ নং ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের গুদিঘাটা গ্রামের ইমারত শ্রমিক ফোরকান মিয়া কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁজর ভেঙে যায়। তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল, ঢাকা চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ফোরকান মিয়া। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা ব্যাপক টাকা খরচ হয়েছে। তার সংসারে স্ত্রী ও অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি মেয়ে ছাড়া আর কেউ নাই। তার চিকিৎসা এখনো অনেক টাকা দরকার। কোন বিত্তবানরা ছুটে আসেনি দেখতে। এমন খবরে বেলা ১২ টার দিকে ফোরকান মিয়াকে বরগুনা জেলা হাসপাতালে দেখতে যান এডভোকেট সুনাম দেবনাথ । সাথে সাথে তাকে ঠিক আর্থিক সহায়তা করেন। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ করোনা ভাইরাস শুলোগ্না থেকে বরগুনায় বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষদেরকে সহযোগিতা করে আসছে।