• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি বানানোর নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক নজরে দেখে নিন কে কার মুখোমুখি হচ্ছে শেষ ষোলোয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডুন’ পরিচালকের হাত ধরে ফিরছেন জেমস বন্ড,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ হন মনির হোসেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগে স্থানীয় নির্বাচন দরকার, বললেন নুর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বহুতল ভবন নয়, দীর্ঘশ্বাসের স্তূপ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবার দক্ষিণ লেবানলে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দুর্ভোগে আমতলীর ৫০ হাজার মানুষ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ৩১৪ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১


বিশেষ প্রতিনিধি আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করছে। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর।
জানাগেছে, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চাওড়া নদীতে আমড়াগাছিয়া বাজারের সংলগ্ন স্থানে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করে। নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় ব্রিজটি নড়বড়ে ছিল। নির্মাণের ১০ বছরের মাথায় ২০১৬ সালে ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙ্গে পড়ে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় চাওড়া, কুকুয়া এবং গুলিশাখালী ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ওই ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ মেরামত করে। মেরামত করার পরে ওই ব্রিজ দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপক্ষো করে ট্রাক ও ট্রলির মালিকরা ওই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এতে ব্রীজ আরো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। গত বছর ১০ জুন ইট বোঝাই ট্রলি পারাপারের সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে ট্রলিটি নদীতে পড়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পরে তিন ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। ওই ব্রিজ পার হয়ে আমড়াগাছিয়া বাজার, গোজখালী বাজার, গুলিশাখালী বাজার, কলাগাছিয়া বাজার ও আমতলী উপজেলা শহরে কৃষি পন্য আনা নেয়া ও মানুষ যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া খেকুয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাইনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোজখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৭ টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে।  ব্রিজটি ভেঙ্গে পরায় গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কৃষি পন্য আনা নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে খেকুয়ানী ও গোজখালী ব্রিজ পার হয়ে মানুষ ও কৃষি পন্য নিয়ে উপজেল শহরে যেতে হয়।  গত এক বছর ধরে ওই ব্রীজে স্থানীয়রা বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। দ্রুত ওইস্থানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আমড়াগাছিয়া বাজারের ব্যবসায়ী বাদল সরদার বলেন, গত পাঁচ বছরে ব্রিজটি দুইবার ভেঙ্গে পরেছে। ভাঙ্গা ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছি। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে পরায় কৃষি পন্য বাজারে আসতে সমস্যা হচ্ছে।
ব্রিজ সংলগ্ন বাসিন্দা অটো চালক মোঃ মজিদ আকন বলেন, ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁশের সাকো দিয়ে এত বড় ব্রিজ পারাপার খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তিনি আরো বলেন, ৮ কিলোমিটার খেকুয়ানী ব্রিজ পাড় হয়ে উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে।
মোটর সাইকেল চালক রাসেল ইসলাম বলেন,  ব্রিজটি সংস্কার না করায় ৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করার দাবী জানান তিনি।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে। ওই স্থানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল মামুন বলেন, ওইখানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় পাঠানো আছে। অনুমোদন হলে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ