• বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশ অনুমোদন: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিচার শেষ করতে হবে ১২০ দিনে,,, শুক্রবার ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত দুই বাংলাদেশি তরুণ,, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: মির্জা ফখরুল,,, সহিংসতার স্থান নেই রাজনীতিতে”— অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিক্রিয়া,, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিভ্রান্তিকর বার্তায় পোশাক খাতে অর্ডার সংকট,, দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পর্যটন স্পটে শিশু নিখোঁজের ঘটনা নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও বাড়বে: সেনাসদর চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ,,,,

জ্বালানি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হবে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ৩১৯ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১

 সম্পাদকীয় জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়,  জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও বৈশ্বিক বাজারের অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে নতুন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। কিন্তু এ উদ্যোগকে আমরা সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানাতে চাই মূলত বিদ্যমান মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার দিকে নজর রেখে। যেমন- চলমান জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় প্রথমে ২০১৫, পরে ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বাস্তবে সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পূরণ করা সম্ভব হয়নি। নতুন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে তা ২০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হবে- এতে আস্থা রাখা কঠিন। অথচ সময় থাকতেই কয়লার ব্যবহার কমানোর বিকল্প নেই। স্বীকার করতে হবে, আসন্ন মহাপরিকল্পনায় বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বাস্তবায়নে ধীরগতিসম্পন্ন ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গতি আনা এবং প্রতিশ্রুতির তুলনায় প্রয়োগে জোর দেওয়া ছাড়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কঠিন।

মনে রাখতে হবে, বৈশ্বিক জ্বালানি খাতে যে মূল্য ও সরবরাহ-সংক্রান্ত অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তা আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়বে বৈ কমবে না। গ্যাস-কয়লাসহ জ্বালানি খাতের প্রধান সব উৎস ও সরবরাহ-শিকল ক্রমেই অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি, বাংলাদেশের জ্বালানি খাত মূলত গ্যাসনির্ভর হলেও ক্রমেই কমছে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের উৎপাদন। কয়েক বছর আগেও যেখানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ২৭০ কোটি ঘনফুট ছিল, এখন তা কমে ২৪০ কোটিতে নেমে এসেছে। এর বাইরে মজুদ ও উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ নিয়েও সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে আলো নেই; বরং আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভরসা জোগাতে পারত সমুদ্র এলাকায় অনুসন্ধান ও উত্তোলনে জোর দেওয়া। সে ক্ষেত্রেও আমরা হতাশাজনক চিত্র দেখতে পাচ্ছি।

সৌরবিদ্যুৎ ছাড়া অন্যান্য নবায়নযোগ্য উৎসকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। সরকার যদি সত্যিই বিদ্যুৎ-বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিতে চায়, তাহলে বরং জলবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎস খুঁজতে হবে। হিমালয় অঞ্চলের খরস্রােতা প্রবাহগুলোকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সম্ভাবনা রয়েছে, এ বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। অভিন্ন অববাহিকার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে সেখানে অংশীদার হতে পারে, তাও বহুল আলোচিত। মূল অধোগতি আসলে অগ্রগতির প্রশ্নে।

মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখন সিভিএফ তথা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্ট। ফলে এই বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জ্বালানি খাত ‘সবুজ’ করে তুলতে বৈশ্বিক উদাহরণ স্থাপন করাও আমাদের দায়িত্ব। নতুন মহাপরিকল্পনায় অবশ্য ‘ক্লিন এনার্জি’ সম্প্রসারণে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বড় কথা হচ্ছে বাস্তবায়নযোগ্যতা। স্বাগত জানাতে গিয়ে সতর্কতার প্রয়োজন আসলে সেখানেই। আমরা প্রতিশ্রুতি ও পরিসংখ্যানের বদলে প্রয়োগ দেখতে চাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ