
মোঃজুলহাস মিয়া,বরগুনা প্রতিনিধিঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার এমএ আজিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব রটানোর অভিযোগে এক ইয়াবাসেবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে এই ইয়াবাসেবীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ইয়াবাসেবীর নাম নূর হোসেন ইমাম (২২)। তিনি বরগুনা পৌরসভার আমতলা পাড় এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা আবদুল গনী মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাতে বসত ঘরে প্রবেশ করে মা ও মেয়েকে চরমভাবে হেনস্থা করে সেই ভিডিও
“মা মেয়ের জমজমাট দেহ ব্যবসা” শিরোনামে ইউটিউবে প্রকাশ করে বরগুনার একটি চক্র। ইউটিউবে প্রকাশিত এই ভিডিওটি দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচিত হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারী বাদী হয়ে গত ৬ মে রাতে মামলা দায়ের করলে বরগুনার দুই সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ন্যাক্কারজনকভাবে হেনস্থার শিকার এই পরিবারের করুন অবস্থা তুলে ধর সাংবাদিক এমএ আজিমের একটি প্রতিবেদন সময় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক আজিমের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালায় ওই চক্রের সদস্য নূর হোসেন ইমাম। এতে সামাজিকভাবে চরম হেনস্থার শিকার হন সাংবাদিক এমএ আজিম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু আজিম নয়; এর আগেও একাধিক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো পাশাপাশি তাদের হুমকিও দেন ইয়াবাসেবী নূর হোসেন ইমাম।
এছাড়াও গ্রেফতার নূর হোসেন ইমামের বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবনসহ মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ইমামের ইয়াবা সেবনের ভিডিও বেশ কিছুদিন আগেই ফেসবুকে ভাইরালও হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে মামলা দায়েরের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হন সাংবাদিক এমএ আজিম।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা গ্রহণ করেছি এবং মামলার আসামি নূর হোসেন ইমামকে গ্রেফতার করেছি। আগামীকাল নূর হোসেন ইমামকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানিয়ে।