এম.জাফরান হারুন, , পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর বাউফলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নরেন চন্দ্র মন্ডল (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে ধারালো ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষরা হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৯ জুলাই ) বেলা ২টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে আহত নরেন চন্দ্র মন্ডলের নিজ বাড়িতে। তিনি ওই ওয়ার্ডের মৃত নেপাল চন্দ্র মন্ডলের পুত্র। নরেন চন্দ্র মন্ডল একজন ফল ব্যবসায়ী। কালাইয়া গরুহাট সংলগ্ন অটোস্টানে তার দোকান।
সরেজমিনে নরেণ চন্দ্র মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন বেলা ২টার দিক দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য আমার দুলাভাই খোকন হাওলাদারকে ডাকাডাকি করি। এমনি সময় হঠাৎ কোনও কথা নেই বার্তা নেই আমার বাড়ির ওমেশ গরামী (৪০) হাতে লাঠি নিয়ে পিটাতে থাকে এবং তার ছেলে দূর্জয় গরামী হাতে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে আঘাত করে। ছুরিকাঘাতে আমার নাকের ওপর ও পাশে কাটা রক্তাক্ত জখম সহ আমার বাম হাতের বুকের পাশে কাটা জখম হয়। বাড়ির লোকজন দ্রুত আমাকে উদ্ধার পূর্বক রক্ষা করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। আমাদের সাথে ইতিপূর্ব থেকে জমি-জমা নিয়ে তাদের সাথে একটি দ্বন্দ্ব লেগে আছে। তারই কারনে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে বাপ ছেলে।
ঘটনার স্বত্যতা জানতে দুলাভাই খোকন হাওলাদারের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি তাদের বাড়িতে গেলে প্রথমে ওমেশ গরামীর ঘরে বসি। আমাকে দেখেই ওমেশ গরামী তার ঘর থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে। আমি ঘর থেকে বের হয়ে নরেন মন্ডলের ঘরের সামনে আসলে সে ভাত খেতে ডাকলে ওমেশ গরামী ক্ষীপ্ত হয়ে তার ছেলেকে নিয়ে নরেন মন্ডলকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। সম্পূর্ণ দোষ ওমেশ গরামীর।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ওমেশ গরামীর ছেলে দূর্জয় গরামীর মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলছি বলে ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আল-মামুন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে দুপক্ষেরই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।##########
[৩০|০৭|২০২২]