বিশেষ প্রতিনিধিঃবরগুনার তালতলী উপজেলার কথিত দুই সাংবাদিক চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার(১লা আগষ্ট) বেলা ১২ টার দিকে আদালতের বিচারকের কাছে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে দুই সাংবাদিক কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামী জামাল খলিফা ওরফে চান মিয়া(২৮) তালতলীর ছোট ভাইজোড়া গ্রামের আতাহার খলিফার ছেলে ও বড় অংকুজান পাড়া খোট্রারচর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে আসামী জলিল।
মামলা সূত্রে জানাগেছে গতবছরের ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার তাপবিদ্যুৎ এলাকায় ব্যবসায়ী ইমরানের দোকানে গিয়ে মৃত্যৃর ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামীরা । দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করিলে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ইমরানকে তারা মারধর করে । এ সময় ব্যবসায়ীর দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং অপরিচিত একটি ট্রাকযোগে ইমরানের দোকান থেকে প্রায় ১০ টন (৪ লক্ষ টাকা মূল্যমানের) ভাঙ্গারি মালামাল জোড়পূর্বক নিয়ে যায় ঐ আসামীরা। আসামীদের মারধরে আহত ব্যবসায়ী ইমরান একটি তালতলীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে থানায় মামলা না নিলে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বরগুনায় আপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে জামাল মল্লিক ওরফে চাঁন মিয়া ও জলিল নামের দুই সংবাদকর্মীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ঔ ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। মামলাটি আদালতের বিচারক মো. নাহিদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তালতলী থানার ওসিকে গতবছরের ২৮ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন । ঔ মামলায় তদন্তে চাদাবাজির বিষয়টি উঠে আসেন। এরপরে থানার ওসি জামাল ও জলিল কে অভিযুক্ত করে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
মামলার বাদী ইমরান হোসেন বলেন, জামাল -জলিল সহ আজ্ঞাত পরিচয়ের ৪/৫ জন মিলে আমার কাছে চাঁদাচায়, এরা মূলত সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী করে । তিনি আরোও জানান, ঘটনার দিন আমাকে মারধর করে এরা আমার টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এরপর মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তারা হুমকি প্রদান করে আসছে। আজকের হাজিরার তারিখেও মামলাটি না চালানোর জন্য হুমকি দিয়েছে জলিল।