• সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার এমপি প্রার্থী বীথিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলায় অস্বচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় আগুনে পুড়ে তিন দোকান ভস্মীভূত।। দোকান মালিকদের ঢেউটিন, নগদ টাকা ও শুকনা খাবার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্ম বিরতি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় ৩ জেলেকে জরিমানা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক — এবিএম মোশাররফ হোসেন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় আপন নিউজ বিডি ডটকম এর ৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ইউএনও কাওসার হামিদ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আমতলীতে জমি জমা নিয়ে বিরোধে নারীসহ ১৩জনকে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

সাগরে নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিনেও চাল পাননি তালতলীর জেলেরা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

মোঃ মিঠু সরদার / ১৪৮ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩

নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিনেও চাল পাননি জেলেরা। সাগরে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা। আর তাই তালতলী উপজেলার ৮ হাজার ৭২১ জেলের মধ্যে ৫ হাজার ২ শত জেলের চাল বরাদ্দে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির চাল পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। চাল না পেয়ে কষ্টে জীবন পার করছে তারা ও তাদের পরিবার। গত ২০শে মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় নিবন্ধিত ৫২০০ জেলেকে গড়ে ৫৬ কেজি করে চাল দেয়ার কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই চাল পাননি জেলেরা। এতে চরম সংকটে দিন পার করছে জেলেপল্লীর জেলরা। এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন জেলেরা।
বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। এফবি আল্লাহ’র দানের মালিক রুবেল বলেন, আমার এই ট্রলারে ২১ জন স্টাফ আছে, তার ভিতরে অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জড়িত মাছ ধরে সেই ঋণ পরিশোধ করে। এখন এই ৬৫ দিনে তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছে মাছ ধরতে না পারলে তাদের এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবে।
তাই এই জেলেদের চালটা দ্রুত দিয়ে দিলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট দূর হবে। জেলে সুমন হাওলাদার বলেন, ‘মোগো দেশে আইয়া এই সুযোগে ভারতের জাইল্লারা মাছ দইরা লইয়া যায় আর মোরা না খাইয়া থাহি মোগো কষ্ট দ্যাহার কেউ নাই। ঘরে চাউল নাই। গুরাগারা লইয়্যা কষ্ট হরি। সরকার চাউল দেছে। হ্যা এহনো পাই নাই। তাই গুরাগারা লইয়া খাইয়া পইরা বাইচা থাকার জন্যে দ্রুত চাউল দেয়ার দাবি হরি।’
তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জামাল হোসাইন বলেন, আমি তো চালের ডিওলেটার ছেড়ে দিয়েছি। এখন মৎস্য কর্মকর্তার বিষয়, তারা যদি চাল না দেয় আমি কি করতে পারি। তবে আমি খবর নিয়ে দেখছি এখনো জেলেদের চাল বিতরণ করা হলো না কেনো। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, গভীর সমুদ্রে যেসব জেলেরা মাছ শিকার করে একমাত্র তারাই এই চাল পাবে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে তাদের তালিকা তৈরি করে খুব শিগগির জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ