• শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা, মিলছে না প্রতিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহান উদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে উপহার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাষ্ট্র কখনোই এগুতে পারবেনা …. তানিয়া রব/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দাউদকান্দিতে কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতা বাণিজ্যের অভিযোগ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জয় দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নতুন সিরিজে নিয়ে আসছেন টিম রবিনসন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

শীতে কাঁপছে ঘোড়াঘাটসহ উত্তরাঞ্চল,কম্বল বরাদ্দ অপ্রতল পাশে কেউ নেই/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ।। / ১৭৫ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪

মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ(মহাতাব মুহাম্মাদ সরকার) ঘোড়াঘাঘাট,(দিনাজপুর)প্রতিনিধি।।

 শীতে কাঁপছে ঘোড়াঘাটসহ দেশের উত্তরাঞ্চল। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা আরোও দীর্ঘায়ু ও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

২ জানুয়ারী মঙ্গলবার থেকে ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত ঘোড়াঘাটসহ এ অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে অব্যাহতভাবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে।(৯ জানুয়ারি) মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে চারপাশ। বৃষ্টির ফোঁটার মতো টপটপ করে শিশির ঝরতে দেখা যায়। কুয়াশার তীব্রতায় সামান্য দূরত্বেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। এমন চিত্র ধরা পরেছে উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট মহাসড়ক ও এর আশপাশের এলাকায়।

ফলে এ অঞ্চলে  বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। বেশ কিছু যানবাহন রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা কয়েকজন বাস ও ট্রাক চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ব্যস্ততম এ সড়কে যান চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে।

ফগ লাইট ব্যবহার করেও অনেক সময় সামনের পথ দেখতে পারছেন না তারা। চার ঘণ্টার রাস্তা পার হতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লাগছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বাঁক ও লিংক রোডগুলো পার হওয়ার সময়ও অধিত সতর্ক থাকতে হচ্ছে।দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে দুরপাল্লার যানবাহনসহ বিভিন্ন যানবাহন।বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের ছিন্নমুল  মানুষ।

শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন সহ সাধারণ মানুষ। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। ্অসায় হত দরিদ্র ছিন্নমুল নিম্ন আয়ের মানুষেরা খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছে।

এ উপজেলায় সরকারি ভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ করা ২ হাজার ৭৪০ পিচ কম্বল। তাপ্রেয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে বরাদ্দ চেয়ে আবদন করা হয়েছে।

শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসকের বরাদ্দ ২ হাজার ৭৪০ পিচ কম্বল ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। আরোও শীত বস্ত্র কম্বলের বরাদ্দ চাহিদা হেয়ে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখায় জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা। 

তবে পাশে নেই বেসরকারী উন্নয়ন ও বিত্তবানরা। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নদী তীরবর্তী অসায় হত দরিদ্র মানুষ। নিম্ন আয়ের  মানুষরা ভিড় করছে হাট বাজারের ফুটপাতের কম দামের গরম কাপড়ের দোকানে। 

আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বোরো বীজতলা। অধিকাংশ চারাই লালচে-হলুদ হয়ে গেছে। কৃষি অফিস জানিয়েছেন, এখনো বীজতলা নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে এরকম আবহাওয়া আর কিছু দিন থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে পারে। এ জন্য আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।

এদিকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সূর্যের দেখা মিলছেনা।

শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া,সর্দিকাশী ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

পৌষের শুরুতেই  হাড় কাঁপানো শীত জেঁকে বসে। দিনভর পথঘাট ঘন কুয়াশায় ঢাকা। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্থবিরতা দেখা দেয়। কর্মহীন হয়ে পড়ে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। শীত উপেক্ষা করে আলু, সরিষা ভুট্টা,, গম খেতে কাজ করতে দেখা যায় শ্রমজীবী মানুষকে। খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় গ্রামের মানুষকে।

ঘোড়াঘাটসহ উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত। ভোর রাত থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।

শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত। শিশির বাতাস কনকনে শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল খেটে খাওয়া মানুষ।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের কোনও কোনও স্থানে বৃষ্টির শঙ্কা আছে। এতে শীত আবার বেড়ে যেতে পারে।

উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। 

উত্তরের জেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।

টানা মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অল্প বাড়লেও কমেছে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার ২ (জানুয়ারি) সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের মাধ্যমে শুরু হয় ২য় দফার শৈত্যপ্রবাহ।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে চলতি শীত মৌসূমের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের মাধ্যমে শুরু হয় ২য় পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহ। টানা পাঁচদিন দিনাজপুর এবং এর আশপাশে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। 

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ জানুয়ারী  মঙ্গলবার  সকাল ৯টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। ওই সময় এই জেলায় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ছিল ২ নটস। গত ৯ জানুয়ারিতে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কমতে থাকে তাপমাত্রা। এতে বৃদ্ধি পায় শীতের প্রভাব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ