• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি বানানোর নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক নজরে দেখে নিন কে কার মুখোমুখি হচ্ছে শেষ ষোলোয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডুন’ পরিচালকের হাত ধরে ফিরছেন জেমস বন্ড,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ হন মনির হোসেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগে স্থানীয় নির্বাচন দরকার, বললেন নুর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বহুতল ভবন নয়, দীর্ঘশ্বাসের স্তূপ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবার দক্ষিণ লেবানলে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


দিনাজপুরে ইউনিয়ন বিএস কোয়ার্টারগুলো ৪০ বছরেও সংস্কার হয়নি এ যেন দেখার কেউ নেই/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ।। / ২২১ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪


মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ(মহাতাব মুহাম্মাদ সরকার) ঘোড়াঘাঘাট,(দিনাজপুর)প্রতিনিধি।।

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, হিলি হাকিমপুর, নবাবগঞ্জ ফুলবাড়ীসহ উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের   উপসহকারি কর্মকর্তাদের বিএস কোয়াটার গুলো দীর্ঘ ৪০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।এ যেন দেখার কেউ নেই।

বিএস কোয়াটার গুলো।জরাজীর্ণ হয়ে বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে আছে ইউনিয়নের বিএস কোয়াটার।

সংস্কারের ্অভাবে ব্যবহার অনপোযোগী হওয়ায় ইউনিয়ন উপসহকারী কর্মকর্তারা (বিএস) বিএস কোর্য়াটারগুলোতে বসবাস করছেন না।

রয়েছে এই কোয়ার্টারগুলোর বেশির ভাগই এখন পরিত্যাক্ত। তাই এগুলোতে বসছে না কোন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। যার ফলে কৃষি সেবা গ্রহন থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকগণ। 

ঠিক তেমনি পরিত্যক্ত ভবনগুলো মাদক অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অনেকটাই ফাকা নির্জন হওয়ায় তা বিভিন্ন জীবজন্তুর আশ্রয়স্থল, অপরাধীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। 

দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোয়ার্টার গুলোতে নজরদারী না রাখায় চুরি হয়ে গেছে এগুলোর দরজাজানালা। এমনকি এসব ভবন থেকে ইট খুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কোন কোন কোয়ার্টার এলাকার মাটিও কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

যদিও কৃষি নির্ভরশীল দেশ বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড দৃশ্যমান হলেও উপজেলায় বিএস কোয়ার্টারগুলোতে তেমন উন্নয়নের ছোয়াঁ লাগেনি।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি ভাল বীজ সরবরাহের লক্ষে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের থাকার কথা থাকলেও এসব কোয়ার্টারগুলোতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা না থাকায় তাদের কৃষি বিষয়ে খোজ খবর নিতে উপজেলা সদরে যেতে হয়।

ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রবীণ ব্যাক্তি মোমদেল হোসেন জানান, গুলোতে বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষকরা কষি বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তির  পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশীর ভাগ ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে কয়েকটি উপযোগী হলেও সেখানে কেউ থাকেন না।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সনের দিকে তৎকালিন সরকার এই ভবনগুলো প্রথমে সিড গোডাউন (বীজাগার) হিসেবে নির্মাণ করে।

পরবর্তীতে এই কর্মসুচি বাতিল করা হলে সরকার সিড গোডাউনগুলো ১৯৮০ সালের দিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীব্লক সুপার ভাইজারদের (বর্তমানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য সংস্কার করে কোয়ার্টারে পরিনত করা হয়। 

মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টারে থাকতেন। এসব ব্যয়বহুল কোয়ার্টার গুলো মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের ব্লক সুপার ভাইজারদের (বিএস) আবাসিক এবং অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন না।  

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি ভাল বীজ সরবরাহের লক্ষে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারগুলোতে থাকার কথা থাকলেও এসব উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কোয়ার্টারগুলোতে না থাকায় তাদের কৃষি বিষয়ে খোজ খবর নিতে উপজেলা সদরে যেতে হয়।

ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সংস্কারের অভাবে গুলোতে বসবাস করা যাচ্ছে না। বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সব পরিত্যাক্ত কোয়ার্টার ভেঙ্গে ওই স্থানে ইউনিয়নের কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্মচারী কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে। 

সম্প্রতি সরেজমিন কয়েকটি কোয়ার্টার্সে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বিএস কোয়ার্টার্সের অবস্থা খুবই করুণ। 

সেখানে জনৈক ব্যক্তি দখল করে বসবাস করছেন। বিএস কোয়ার্টার এর পার্শ্বে আবর্জনার স্তুপ। নির্মিত ইউনিয়ন বিএস কোয়ার্টার  একটি বাথরুম,একটি রান্নাঘর দুটি কক্ষ রয়েছে।

প্রথম কয়েক বছর বিএসরা অবস্থান করছিলেন। পরে তারা কোয়ার্টার্স ছেড়ে বসবাস শুরু করেন নিজ বাড়ীতে। তখন থেকে এগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোয়ার্টার্সে বিএসরা থাকলে কৃষকরা উপকৃত হবে। তাদের কাছ থেকে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি কৃষি বিষয়ে পরামর্শ নেয়া যাবে। ভবন গুলো সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রফিকুজ্জামান জানান,এসব পরিত্যাক্ত কোয়ার্টার ভেঙ্গে ওই স্থানে ইউনিয়নের কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্মচারী কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে বিষয়ে কোন চিঠি পত্র পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ