• রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা,,, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না”— বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ঘোষণা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ,,, জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৪৯ নওগাঁ-৪ (মান্দা) সংসদীয় আসনের ধানের শীষের প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু—-দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

ভাগ্য বদলায়নি বোরহানউদ্দিনে ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করা জালু মিয়ার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।  

রিপোর্টার: / ১৩২ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আরিফ পণ্ডিত।।

প্রতিদিন ঘোড়ায় চড়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভিক্ষা করেন ৷ বয়সের ভারে হাঁটতে পারেন না বলে তাকে ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করতে হয়। ৫/৬ বছর আগে গরু বিক্রির টাকা দিয়ে ঘোড়াটি কিনেন। সেই ঘোড়ায় চড়েই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করেন তিনি। প্রতিদিন ভিক্ষা করে তার আয় হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মতো। এতে ঘোড়ার খাবার কেনার পর কোনো রকম চলছে তার মানবেতর সংসার জীবন।

বাংলায় একটি প্রবাদ- ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দ হাঁটিয়া চলিল’। ঠিক সেই রকম না হলেও-‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দ ভিক্ষায় চলিল’ এ কথারই বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে ভোলার বোরহানউদ্দিন  সাচড়া ইউনিয়নের  চরগঙ্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতলবের ছেলে জালাল আহমেদ ওরফে জালু মিয়া (৫৫)।
জালু মিয়া জানান, আমি আর আমার মানসিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী ভিক্ষা করে খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছি। আমার কোনো জায়গা জমি নেই। পরিবারেও সচ্ছল কেউ নাই। তাই পাশের গ্রামে এসে অন্যের জমিতে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে থাকি। বৃষ্টি আসলে ঘর দিয়ে পানি পড়ে। অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি। ঘোড়াটাই আমার সম্বল। ঘোড়াটা আছে বলেই ঘরে চুলা জ্বলে।’

তিনি আরও জানান, আগে মানুষের কাজ করে খেতাম। এই বয়সে এখন কেউ কাজ দেয় না। তাছাড়া কাজ করার ক্ষমতাও তার শরীরে নেই। কোনো সহায় সম্বলও নেই। তাই বাধ্য হয়েই এ পেশাতে আসতে হয়েছে আমার। শেষ বয়সে স্ত্রীকে নিয়ে থাকার জন্য তাকে যেন একটি সরকারি ঘর দেওয়া হয় এমন দাবি করছেন তিনি।

স্থানীয়রা বলেন, একসময় রাজা বাদশারারা ঘোড়ায় চলাফেরা করতো। আর এখন জালু মিয়া ঘোড়ার পিঠে চড়ে ভিক্ষা করায় স্থানীয়রা তাকে রাজকীয় ও জমিদার ভিক্ষুক বলে ডাকেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম বলেন,আমার ওয়ার্ডে একজন অসহায় ও গৃহহীন ব্যক্তি জালাল আহমেদ এর জন্য আমার এমপি মহোদয়ের কাছেও সুপারিশ করেছি। যাতে একটি ঘর পাইতে পারে।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উজ্জামান বলেন, অসহায় এ পরিবারটির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি  জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র করার পর  বিধি মোতাবেক সরকারি ঘর প্রদান করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ