• শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
হিজলায় বিএনপি নেতার অপকর্মের বিরুদ্ধে মানবন্ধন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা চিয়া সিডের সঙ্গে এই খাবারগুলো খাওয়া হতে বিরত থাকুন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মানহানির মামলার জন্য ক্ষতিপূরণ চাইলেন ব্লেক লাইভলি,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কূটনীতিকদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন বিএনপির মঈন খানের,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরখানে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম বিএনপির,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা যুব, নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দিয়ে এবি পার্টি’র নির্বাচনী ইশতেহার,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা পথশিশুদের অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নেপালে বাংলাদেশিরা নিরাপদে, পরিস্থিতির উন্নতি হলেই ফিরে আসা সম্ভব: তৌহিদ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইয়েমেনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩৫ জন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কী আছে এই নতুন আইফোন ১৭ এয়ারে?,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

ভাগ্য বদলায়নি বোরহানউদ্দিনে ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করা জালু মিয়ার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।  

রিপোর্টার: / ১০৮ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আরিফ পণ্ডিত।।

প্রতিদিন ঘোড়ায় চড়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভিক্ষা করেন ৷ বয়সের ভারে হাঁটতে পারেন না বলে তাকে ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করতে হয়। ৫/৬ বছর আগে গরু বিক্রির টাকা দিয়ে ঘোড়াটি কিনেন। সেই ঘোড়ায় চড়েই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করেন তিনি। প্রতিদিন ভিক্ষা করে তার আয় হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মতো। এতে ঘোড়ার খাবার কেনার পর কোনো রকম চলছে তার মানবেতর সংসার জীবন।

বাংলায় একটি প্রবাদ- ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দ হাঁটিয়া চলিল’। ঠিক সেই রকম না হলেও-‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দ ভিক্ষায় চলিল’ এ কথারই বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে ভোলার বোরহানউদ্দিন  সাচড়া ইউনিয়নের  চরগঙ্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতলবের ছেলে জালাল আহমেদ ওরফে জালু মিয়া (৫৫)।
জালু মিয়া জানান, আমি আর আমার মানসিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী ভিক্ষা করে খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছি। আমার কোনো জায়গা জমি নেই। পরিবারেও সচ্ছল কেউ নাই। তাই পাশের গ্রামে এসে অন্যের জমিতে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে থাকি। বৃষ্টি আসলে ঘর দিয়ে পানি পড়ে। অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি। ঘোড়াটাই আমার সম্বল। ঘোড়াটা আছে বলেই ঘরে চুলা জ্বলে।’

তিনি আরও জানান, আগে মানুষের কাজ করে খেতাম। এই বয়সে এখন কেউ কাজ দেয় না। তাছাড়া কাজ করার ক্ষমতাও তার শরীরে নেই। কোনো সহায় সম্বলও নেই। তাই বাধ্য হয়েই এ পেশাতে আসতে হয়েছে আমার। শেষ বয়সে স্ত্রীকে নিয়ে থাকার জন্য তাকে যেন একটি সরকারি ঘর দেওয়া হয় এমন দাবি করছেন তিনি।

স্থানীয়রা বলেন, একসময় রাজা বাদশারারা ঘোড়ায় চলাফেরা করতো। আর এখন জালু মিয়া ঘোড়ার পিঠে চড়ে ভিক্ষা করায় স্থানীয়রা তাকে রাজকীয় ও জমিদার ভিক্ষুক বলে ডাকেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম বলেন,আমার ওয়ার্ডে একজন অসহায় ও গৃহহীন ব্যক্তি জালাল আহমেদ এর জন্য আমার এমপি মহোদয়ের কাছেও সুপারিশ করেছি। যাতে একটি ঘর পাইতে পারে।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উজ্জামান বলেন, অসহায় এ পরিবারটির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি  জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র করার পর  বিধি মোতাবেক সরকারি ঘর প্রদান করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ