• বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্র গর্ভে বিলীন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শুরু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। শ্রীহীন হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।সমুদ্রে বিলীন হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় স্থান গুলো/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় কেঁচো সার উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলার লালমোহনে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

লাগামছাড়া বাজার, দাম বাড়ানোর সংস্কৃত বন্ধ হোক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ১২৫ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪


ক্রমাগত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া দামে ক্রেতারা প্রতিনিয়ত নাজেহাল হচ্ছেন। চাল, ডাল, চিনি, লবণ, আটা-ময়দা-সব পণ্যই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মাছ-মাংস, সব ধরনের সবজি, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম তো লাগামছাড়া। তেলের দাম কিছুটা কমলেও তা সহনীয় নয়। অনিয়ন্ত্রিত বাজারে এবার অসাধু ব্যবসায়ীদের নজর পড়েছে ইফতারি পণ্যের ওপর। সংকট না থাকলেও ইফতারি পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটছে তারা। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বাজার ও এলাকার মুদি দোকানে দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলা, মুড়ি, খেজুর, বেসন, সরিষার তেল, বুটের ডালের দাম ১০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শরবত তৈরির উপকরণ ইসবগুলের ভুসির দামও কেজিতে বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকা। এছাড়া রমজাননির্ভর বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরিতে ব্যবহার্য আলু, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, ট্যাং, রুহ-আফজার দামও অহেতুক বাড়ানো হয়েছে। পরিতাপের বিষয়, প্রতিবছর রোজার আগে থেকেই বিক্রেতাদের সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করাটা যেন সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে বারবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয় না। বাজার তদারকি সংস্থা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে। তারা দাম বাড়বে না এমন আশ্বাস দিলেও বাজারের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। বাড়তি দরেই সব পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। আমরা মনে করি, সরকারের উদ্যোগ ও আশ্বাসের পরও কেন তা কার্যকর হয় না, সে রহস্য উদ্ঘাটনে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। রোজার আগে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে এ সময়ে সার্বিকভাবে বাজার তদারকি বৃদ্ধি এবং দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে তার আগে বাজার তদারকি সংস্থার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাত রয়েছে কিনা অর্থাৎ সরষের ভেতরেই ভূত রয়েছে কিনা, তা বের করা জরুরি। তা না হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো অসম্ভব। অন্যান্য দেশে বাজারে কোনো পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির আগেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সিন্ডিকেটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আগাম সতর্ক করে দেয়। আমাদের দেশেও এ রীতি চালু করা প্রয়োজন। বাস্তবতার নিরিখেই এ ধরনের বিশেষ সংস্থাকে কার্যকর করা দরকার। পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারকেই জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ