• বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশে চালু হলো টিকটকের নতুন ফিচার ‘স্টেম ফিড’ শুক্রবার ১৬ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায বান্দরবানে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক মালিবাগে সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি যতটুকু ঐকমত্য, ততটুকুই এগোবো”—বলেন বিএনপির আমীর খসরু শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হলো ১২ দপ্তরে আমতলীতে প্রভাবশালীদের জোর করে সম্পত্তি দখল অতঃপর থানায় মামলা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আমতলীতে জাতীয় শিশু দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আমতলীতে কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

টঙ্গীতে এসকেএফ কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ/ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৭৮ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

গাজীপুরের টঙ্গী চেরাগআলী স্কুইব রোডে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কারখানার অস্থায়ী শ্রমিক ও স্থায়ী অপারেটররা ১৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। অস্থায়ী ও স্থায়ী প্রায় তিন হাজার শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেন। কারখানর ডিজিএম বিপন সাহা রায়ের পদত্যাগ; স্থায়ী নতুন অপারেটরদের নূন্যতম বেতন ২৫হাজার, বেসিক ৮,৫০০টাকা; পূর্ব ঘোষিত ৩০% গ্রোস সেলারি এরিয়া; সকল অস্থায়ী অপারেটরদের হাজিরা ৫০০টা; চাকরির বয়স ৬ মাস হলে স্থায়ীকরণ; সকল শ্রমিকের সন্তানদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্তপদে চাকরি দেয়া; খাবারের বৈষম্য বন্ধ; পিএল ছুটি ২১দিন করা; বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট সর্বনিম্ন ৩হাজার টাকা করা; পার্সোনাল ফোন ব্যবহারের অনুমতিসহ-এমন ১৪দফা দাবি তুলে ধরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন। পরে খবর পেয়ে বিকেলে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, আমরা অস্থায়ী, স্থায়ী অপারেটর ও ক্যাজুয়েলসহ প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছি। এসকেএফ কারখানার ডিজিএম (গ্রান্ড) বিপন সাহা রায়ের আচরণ ডিবির হারুনের মতো। তিনি প্রত্যেক অপারেটরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকেন। তাকে অতিসত্তর পদত্যাগ করতে হবে। তাকে অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা হবে না। এছাড়াও স্থায়ী নতুন অপারেটরদের নূন্যতম বেতন ২৫ হাজার এবং বেসিক সাড়ে আট হাজার টাকা করতে হবে। পূর্ব ঘোষিত ৩০% গ্রোস স্যালারি এরিয়াসহ দিতে হবে যা শ্রমিক ছাড়া এসকেএফ-এর সকল কর্মকর্তা ভোগ করতেছে। সকল অস্থায়ী অপারেটরের হাজিরা ৫শ’ টাকা করতে হবে এবং চাকুরির বয়স ৬মাস হলে তাদের স্থায়ীকরণ করতে হবে। যাদের চাকরির বয়স ৬মাসের অধিক হয়েছে  আগামী ১ মাসের মধ্যে তাদের স্থায়ীকরণ করতে হবে। স্থায়ী অপারেটরদেরকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না, যদি চাকরিচ্যুত করতে হয় তাহলে অবশ্যই ইউনিয়নের মাধ্যমে করতে হবে এবং তার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ মাসের গ্রোস স্যালারি দিতে হবে। আন্দোলনের সাথে যুক্ত কাউকে হয়রানি অথবা চাকুরিচ্যুত করা যাবে না। অপারেটর ও কর্মকর্তাদের খাবারের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য করা হয়, এগুলো বন্ধ করতে হবে। কারখানায় মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমাদের পিতা-মাতা বা আত্মীয়স্বজন মারা গেলেও যথাসময়ে খবর পাই না। তাই আমাদেরকে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। আমাদের এই দাবিগুলো আগামী পহেলা সেপ্টেম্বরের মধ্যে কার্যকর করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাকা দেওয়া হবে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কারখানা অভ্যন্তরে শ্রমিক আন্দোলন চলছিল। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক বলেন, শ্রমিকরা দাবি দাওয়া নিয়ে কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ