• শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ,,, জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৪৯ নওগাঁ-৪ (মান্দা) সংসদীয় আসনের ধানের শীষের প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু—-দৈনিক ক্রাইম বাংলা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত গাজী সালাউদ্দিন মারা গেছেন,,, 📰 আ.লীগের লকডাউন ঠেকাতে এক হাসনাতই যথেষ্ট: নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী,, রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন,,, “গণভোট নয়, পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করাই এখন জরুরি”— তারেক রহমান,,,, বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস,, ভোলা ও বরগুনায় কোস্ট গার্ডের অভিযান: ইয়াবা, গাঁজা ও নগদ টাকাসহ মাদক কারবারি আটক,,, মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের ষড়যন্ত্রে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ ,

কলাপাড়ায় পল্লি বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

রিপোর্টার: / ১২৭ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।

কলাপাড়ায় একদিকে ঘনঘন লোডশেডিং অপরদিকে ভ‚তুড়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের সাধারন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। উপজেলা জুড়ে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং থাকায় তুলনামূলক বিদ্যুৎও কম ব্যবহার হয়েছে। তবুও দুই মাস ধরে দ্বিগুণ – তিনগুণ হারে বিল আসছে। লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, মনগড়া বিলকরে সাধারন গ্রাহকের পকেট কাটছেন বিদ্যুৎ অফিস। তারা যা ইচ্ছা তাই করছেন। দিনের পর দিন চলছে এই অরাজকতা। তাদের দেখার কেউ নেই।
এদিকে প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিল সংশোধনের অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। ভূতুড়ে বিলে প্রসঙ্গে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর সাব- জোনাল অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। উল্টো অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা – কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বুঝাচ্ছেন।তাদের কথাবুঝলে ভালো, না বুঝলে কিছুই করার নেই বলে ভূক্তভোগীদের বিদায় দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিদিন গ্রাহকের সাথে অফিসের কর্মকর্তা – কর্মচারীদের বাগবিতন্ডা হচ্ছে।
কলাপাড়া পৌরসভার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান খান বলেন, মে মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ১১ শত ৮৬ টাকা, জুলাই মাসে ১হাজার ৯ শ’ ৩৫ টাকা। আগষ্টে আমাদের এলাকায় রেকর্ড পরিমানে লোডশেডিং ছিল অথচ এ মাসে বিল অস্বাভাবিক ৩ হাজার দুই শত ৭৮ টাকা। বিদ্যুৎই যেখানে ঠিকমতো পাওয়া যায়নি, সেখানে এমন অস্বাভাবিক অংকের ভূতুড়ে বিল কিভাবে হয়, আমার মাথায় ধরে না।
সুকুমার ভট্রাচার্জ নামের একজন গ্রাহক বলেন, আমার বাসার বিদ্যুৎ বিলে জুলাই মাসে ৪৩৫ টাকা বকেয়া ছিল। আগষ্ট মাসে আমার ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ১৬০, কিন্তু এ মাসে বিল এসেছে ২ হাজার ৭ শত ৫৬ টাকা। কোন কারনে এতো বেশী বিল হলো কেউ আমাকে একটু বুঝিয়ে বলতে পারবেন?
অপর গ্রাহক সাবিনা ইয়ামিন নামের একজন বলেন, আগে নিয়মিত বিল যেখানে ৩ শ’ ৪শ’ কাটা ছিল। সেখানে হঠাৎ করে বিল আসছে ১২২৫ টাকা। এটা তো মগের মুল্লুক মনে হচ্ছে। অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। মাত্রাতিরিক্ত বিল আসাটা সত্যি কষ্টদায়ক।
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর জোনারেল ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাহক যে পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহৃত করেন, সেভাবেই বিলও তৈরি হয়। অতিরিক্ত বিল নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। মৌখিক ভাবে বেশী কিছু অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ