• শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসির প্রস্তুতি সম্পন্ন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন,,, বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা ছিল দেশের টার্নিং পয়েন্ট: ফখরুল,,, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই: প্রেস সচিব,,, পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব নেই,, গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশ অনুমোদন: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিচার শেষ করতে হবে ১২০ দিনে,,, শুক্রবার ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত দুই বাংলাদেশি তরুণ,, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: মির্জা ফখরুল,,, সহিংসতার স্থান নেই রাজনীতিতে”— অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিক্রিয়া,,

বিতর্কিত নির্বাচনের দায়ে তিন সাবেক সিইসির বিরুদ্ধে ইসিতে বিএনপির অভিযোগ, থানায় মামলার উদ্যোগ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ১০৯ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

আজ সকালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যায়।

বিএনপি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ও মামলা করেছে। রোববার (২২ জুন) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন নির্বাচন কমিশনের বর্তমান প্রধান এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে জমা দেওয়া হয়।

দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে গিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মিজানুর রহমান, ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সিইসি, নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিবসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের রেখে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হবে। মামলার অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার নামও রয়েছে বলে জানান সালাহ উদ্দিন খান।

তাঁর ভাষ্যে, “আমরা বারবার অভিযোগ করেছি, কিন্তু তৎকালীন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে আমরা মনে করি। এবার আমরা আশাবাদী—বর্তমান কমিশন তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।”

সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির প্রতিনিধি দল জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাদের বলেছেন, তিনি অভিযোগের কপি গ্রহণ করেছেন এবং যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করা হবে।

বিতর্কিত তিন নির্বাচনের পটভূমি

১। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন:
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে দলটির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিএনপি ভোট বর্জন করে এবং এই সংসদকে ‘বিনা ভোটের সংসদ’ হিসেবে অভিহিত করে।

সে সময় সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ এবং কমিশনার ছিলেন মো. আবু হাফিজ, মো. আব্দুল মোবারক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী ও জেলা জজ (অব.) মো. শাহনেওয়াজ।

২। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন:
বিএনপি অংশ নিলেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে। বিরোধীদের অভিযোগ—ভোটগ্রহণের আগেই রাতেই ব্যালট ভর্তি করা হয়। বিরোধী দলগুলো মাত্র ৭টি আসনে জয় পায়।

এই নির্বাচন ‘নীশিরাতের ভোট’ নামে পরিচিতি পায়। সিইসি ছিলেন কে এম নূরুল হুদা এবং কমিশনার ছিলেন রফিকুল ইসলাম, মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

৩। ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন:
এই নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা অংশ নেয়নি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজের দলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার নাটক তৈরি করে।

এ নির্বাচন ‘আমি আর ডামি’ নামে প্রচলিত হয়। সিইসি ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। কমিশনার হিসেবে ছিলেন মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, রাশেদা সুলতানা ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিতর্কিত তিনটি নির্বাচনের আয়োজন ও পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

গত ১৬ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সরকারপ্রধানের দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—তৎকালীন সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এই তদন্ত উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এবং মামলা দায়েরের পদক্ষেপ আসে, যা আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ