• শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসির প্রস্তুতি সম্পন্ন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন,,, বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা ছিল দেশের টার্নিং পয়েন্ট: ফখরুল,,, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই: প্রেস সচিব,,, পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব নেই,, গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশ অনুমোদন: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিচার শেষ করতে হবে ১২০ দিনে,,, শুক্রবার ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত দুই বাংলাদেশি তরুণ,, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: মির্জা ফখরুল,,, সহিংসতার স্থান নেই রাজনীতিতে”— অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিক্রিয়া,,

গণ-অভ্যুত্থান একক দলের নয়, জনগণের আন্দোলন’—তারেক রহমান,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৮৩ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন নানা অনিশ্চয়তা ও প্রশ্নের মুখে, তখন কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তের সুযোগে যেন চরমপন্থা ও ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত না হয়—এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে’ এক স্মরণসভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন।

তারেক রহমান বলেন, “জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এই অবস্থায় যদি আবেগতাড়িত হয়ে কেউ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, তবে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ ফের মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণের প্রধান মাধ্যম হওয়া উচিত জনগণের রায়। যদি জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত না হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে—অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন আদৌ সম্ভব কিনা।

সম্প্রতি দেশে সংঘটিত কিছু নৃশংস ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এসব ঘটনা কখনো কখনো অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তিনি বলেন, “এই সরকারকে আরও স্বচ্ছতা ও সাহসিকতা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দলগুলো সরকারের সেই উদ্যোগে পাশে থাকবে।”

স্মরণসভায় তারেক রহমান বলেন, “১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে জাতির স্মৃতিতে স্থায়ী হয়ে আছেন, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদরাও ঠিক তেমনি ইতিহাসে গৌরবের স্থান পাবেন। গেল বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও তা কেবল কোটার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ১৬ তারিখের পর তা রূপ নেয় জাতীয় গণআন্দোলনে। সে সময় জনগণের মধ্যে চূড়ান্ত বিশ্বাস জন্ম নিয়েছিল যে, মাফিয়াতন্ত্রের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই বিশ্বাস থেকেই সব গণতান্ত্রিক দল সম্মিলিতভাবে আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছিল।”

তিনি বলেন, “এই আন্দোলন কোনো একক দলের নয়—এমনটাই নিশ্চিত করা হয়েছিল। এটি ছিল জনগণের অধিকার আদায়ের অভিন্ন সংগ্রাম। ২০১৪ সালেও আমি কোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছি। আজ সেই প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহীদরা জাতির গর্ব। তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই শহীদদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো সম্ভব হবে।”

তারেক রহমান বলেন, শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জরুরি হলো একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ, যেখানে জনগণ নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবে। এর জন্য উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ