কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
কলাপাড়ায় আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের ইমেজ নষ্ট করার অভিযোগ তুলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি,সম্পাদক। উপজেলার ধুলাসার ইউপির আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদল এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন সাহেবের ২৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া
মিলাদের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বর্তমান ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় মো. নুর বাহাদুর রহমান ওই কলেজের সাবেক সভাপতি পরিচয়ে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। তবে এ বিষয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি অবহিত নয়। পরে কলেজ ছাত্রদলের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে নূর-বাহাদুর ওই কলেজের কোন পদেই কখনও ছাত্রদলের দায়িত্ব পালন করেন নি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমান কমিটির আগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন জনাব মোঃ আলমগীর ভুইয়া। তাই আমরা মনে করি এখানে আমাদের বর্তমান ছাত্রদলের ইমেজ নষ্ট করার জন্য কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই কাজ তাকে দিয়ে করানো হয়েছে। বর্তমান সময় বিভিন্ন গুপ্ত চরের মাধ্যমে বিএনপির ইমেজে নষ্ট করতে মরিয়া কিছু কুচক্রিমহল। আমরা আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া মোঃ নুর বাহাদুর আপনি অবশ্যই এই ভুয়া জালিয়াতি কর্মকান্ড করে কলেজ ছাত্রদলের ইমেজ নষ্ট করার কারণে ক্ষমা চাইবেন, না হয় আমরা কলেজ ছাত্রদল সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ রানা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামবীর আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। কলেজ ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মী যেন তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ বা সম্পর্ক না রাখে বলেও লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এবিষয়ে সভাপতি দাবী করা নূরবাহাদূর জানান, তিনি কলাপাড়া মোজহার উদ্দিন বিশ্বাস অনার্স কলেজের যুগ্ন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে জালালউদ্দিন ডিগ্রী কলেজে দুঃসময়ে তিনি ছাত্রদলের অগ্রনী ভূমিকা পালনকালে তাকে কক্ষে আটকে নির্যাতন করা হয়েছে। ওই সময়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তাকে সভাপতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে মুখ ফসকে বলাটা ভুল হয়েছে। মহিপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মো. তানজিল বলেন, জালালউদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আগের কমিটিতে নূরবাদুর নয়, আলমগীর নামে একজন সভাপতি ছিলেন এটা নিশ্চিত। আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখা হবে।