বছর ব্যবধানে ১২ শতাংশ বেড়েছে সাইবার অপরাধ, ঝুঁকিতে নারীরা
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ)-এর একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, গত এক বছরে দেশে সাইবার অপরাধ বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আর গত ৫ বছরে সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগী প্রায় ২ লাখ মানুষ অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্লাটফর্মে, যা ভুক্তভোগীদের মাত্র ১২ শতাংশ। এমন পসিস্থিতিতে অক্টোবর জুড়ে দেশে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাসব্যাপী এ কর্মসূচি ঘোষণা করে করা হয়।
এসময় সংশ্লিষ্টরা বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও এর সঙ্গে বাড়ছে সাইবার ঝুঁকি। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সাইবার হামলা, সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া, নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনা প্রমাণ করে সাইবার নিরাপত্তা এখন জাতীয় নিরাপত্তার অংশ। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায়, দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফোন কলসহ ব্যক্তিগত তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে।
পুলিশের সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সি.পি.সি.) তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাত্র ৪০টি মামলা হয়েছে। অনেক ঘটনা বাদ পড়ে যাচ্ছে তথ্য-প্রমাণের অভাবে এবং ভুক্তভোগীদের অসচেতনতার কারণে। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ২০২৪ সালের গবেষণা অনুযায়ী, ভুক্তভোগীদের ৭৮ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং প্রায় ৫৯ শতাংশ নারী।
মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্যাম্পেইন, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার ও কর্মশালা, অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রচারণা জোরদার। একই সঙ্গে পরিবার পর্যায়ে শিশু ও কিশোরদের অনলাইন আচরণ সম্পর্কে অভিভাবকদেরও সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে