
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিন্দা, দ্রুত তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ৫ নভেম্বর ২০২৫ (দৈনিক ক্রাইম বাংলা):
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গভীর নিন্দা জানিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে—এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন না প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ, তবে একটি বিচ্ছিন্ন গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন। সরকার তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
‘সহিংসতার কোনো স্থান নেই’ — প্রধান উপদেষ্টা
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে যেন কোনো ধরনের শিথিলতা না থাকে।
তিনি বলেন,
> “রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা, ভয়ভীতি বা সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক নাগরিক ও প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
শান্ত ও সহনশীল পরিবেশের আহ্বান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দল, জোট ও প্রার্থীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—তারা যেন ধৈর্য, সংযম ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করে। বিবৃতিতে বলা হয়,
> “আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ ও ন্যায়সংগত পরিবেশে সম্পন্ন করতে সকল পক্ষকে সহযোগিতা করতে হবে।”
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার
সরকার আরও জানায়, তারা গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে সারাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিবৃতির শেষে সরকার পুনরায় জোর দিয়ে বলে—রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও সহিংসতা বা ভয়ভীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়; আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক নিরাপত্তাই হবে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
—