মোঃ রেদওয়ান শাওন ।।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদি ইউনিয়নের কাটাদিয়া আবুল হাশেম মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সিকিউরিটি গার্ড (এমএলএসএস) নিয়োগে ৮ লাখ টাকা ঘূষ নেওয়ার/ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তীর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ এনায়েত হোসেন খাঁন, মাদ্রাসা সুপার মাওঃ মোঃ আব্দুল হালিম ও বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্বে। গোপন সুত্রে জানা যায় মাদ্রাসার সিকিউরিটি গার্ড (এমএলএসএস) পদটি শুন্য থাকায় মোটা অংকের টাকা নিয়ে দাড়িয়ালের কাওছার হোসেনকে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসায় সিকিউরিটি গার্ড পদে নিয়োগ দেয়া হয়। জানাগেছে পরিক্ষার মাধ্যমে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যেখানে পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন ৬ জন। এদিকে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ছাড়াই মাদ্রাসায় অবৈধভাবে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ দেয়ায় এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে। স্হানীয় মেম্বর, এলাকাবাসিসহ অনেকেই মানববন্ধনে ভূয়া নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নোটিশ দিয়ে নিয়োগ দেয়ার আহব্বান জানিয়ে মানববন্ধন করেন। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার বলেন, আমি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকমল হোসেন, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, বিদ্যুৎসাহী সদস্য উপস্তিত থেকে কাওসার হোসেনকে নিয়োগ দেই। মাদ্রাসা সুপারের কাছে নিয়োগের ডকুমেন্টস (নিয়োগপত্র, পরিক্ষার রেজাল্ট, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, মিটিং এর রেজুলিওশন বইয়ের স্বাক্ষর) দেখতে চাইলে তিনি কিছুই দেখাতে পারেননী। মাদ্রাসায় স্হানীয়দের না নিয়ে অন্য ইউনিয়নের লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে নিয়োগ দিয়ে জঘন্য করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার অনেকে। তারা বলেন বিষয়টি যদি জেলা প্রশাসক মহাদ্বয় খতিয়ে দেখে ব্যাবস্হা নেন তাহলে বন্ধ হতে পারে নিয়োগের নামে টাকা বানিজ্যের সিন্ডিকেট। এদিকে এলাকার ভুক্তভোগী’রা (মিঠু খাঁন, মিঠু ফকির) বলেন, আমাদের কাছে ৭ লাখ টাকা চেয়ে তারপর কাওসার হোসেনকে ৮ লাখ টাকায় নিয়োগ দিয়েছে । ঘূষ নেওয়ার ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার মাওঃ হালিম হোসেনকে ফোন করলে তিনি বলেন, নিয়োগ পরিক্ষা নেয়া হয়েছে এবং পত্রীকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাওসার পরিক্ষায় ফাষ্ট হয়েছে তাই তাকে কোন টাকা ছাড়াই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ফোন করলে তিনি বলেন, ৬ জনের নিয়োগ পরিক্ষা নেয়া হয়েছে এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি আমার কাছে বিজ্ঞপ্তির পত্রীকা আছে আপনারা দেখতে চাইলে দেখতে পারেন। বাকেরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আকমল হোসেনকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননী। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডি,সি) মোঃ অজিউর রহমানকে ফোন করলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ফোন ব্যাস্ত।