• বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
টঙ্গীতে আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণ,ফাইটারের মৃত্যু,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা দগ্ধ আরেক ফায়ার আগারগাঁওয়ে দোকান দখল নিয়ে সংঘর্ষ, একজন নিহত,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের জবাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা নিউইয়র্কে রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থায় গভীর দুঃখ প্রকাশ, সরকারের আইনি ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে পার্লামেন্টারি বোর্ড, বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান রিজভীর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার কোনো সুযোগ নেই: নাহিদ ইসলাম,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আপৎকালীন সময়ের জন্য ডলার মজুত যথেষ্ট নয়: অর্থ উপদেষ্টা,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের নিন্দা ও প্রতিবাদ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় ভূয়া ছাত্রদল সভাপতি দাবীর অভিযোগে বিজ্ঞপ্তি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দশমিনায় গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মোনাজাত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

গফরগাঁওয়ে যৌতুকের বলি এক সন্তানের জননী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ৩৩৪ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

যৌতুকের বলি হলো মুসলিমা খাতুন (২৪) নামে এক সন্তানের জননী। সে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন টাংগাব ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী। শনিবার সকালে ছাপিলা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার রাতেই নিহতের মা রোকেয়া খাতুন বাদি হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৪৫) কে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টাংগাব ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আলামিনের সাথে গত তিন বছর আগে নিহত গৃহবধূ মুসলিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর আলামিন ও মুসলিমা খাতুন দম্পতির ঘরে আরাফাত (২) নামে এক শিশু সন্তানের জন্ম হয়। এর পরপরই শুরু হয় যৌতুকের জন্য তাদের দাম্পত্য কলহ। এনিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিবাদ লেগেই থাকতো। শুক্রবার রাতে কলহ বিবাদের একপর্যায়ে স্বামী আলামিন লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে স্ত্রী মুসলিমা খাতুনকে গুরুতর আহত করে নিজ ঘরেই ফেলে রাখে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিজ ঘরেই মৃত্যু বরণ করে মুসলিমা খাতুন। খোঁজ পেয়ে প্রতিবেশীরা পাগলা থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুসলিমার রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার রাতেই নিহতের মা রোকেয়া খাতুন বাদি হয়ে মেয়ের জামাই আলামিন, শ^শুর মফিজ উদ্দিন ও শ^াশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে আসামি করে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহতের মা রোকেয়া খাতুন জানায়, বিয়ের পর থেকে আনোয়ারা বেগমের নির্দেশে আলামিন আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতো। এক বছর পূর্বে আনোয়ারা বেগম ও আলামিনের বেধড়ক পিটুনির পর আমি আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাই এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলাম। ওই সময় তাঁরা আর কখনো এরকম অত্যাচার, নির্যাতন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করায়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারিদের শাস্তি চাই।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ