• বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচন প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহীদ সাংবাদিক পরিবারকে সম্মাননা দিচ্ছে তথ্য মন্ত্রণালয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বার্তা প্রবাহ পত্রিকা সন্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। মহিপুরে দুই শিক্ষার্থী বহিস্কার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আরাফাত জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় একাধিক নারীর মৃত্যু,অর্থের বিমিময়ে ধামাচাপা অভিযোগ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় ৬ হাজার কৃষক পেল বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিনে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগ আর্থিক সহায়তা বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।


গফরগাঁওয়ে যৌতুকের বলি এক সন্তানের জননী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ২৯৫ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২


যৌতুকের বলি হলো মুসলিমা খাতুন (২৪) নামে এক সন্তানের জননী। সে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন টাংগাব ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী। শনিবার সকালে ছাপিলা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার রাতেই নিহতের মা রোকেয়া খাতুন বাদি হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৪৫) কে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টাংগাব ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আলামিনের সাথে গত তিন বছর আগে নিহত গৃহবধূ মুসলিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর আলামিন ও মুসলিমা খাতুন দম্পতির ঘরে আরাফাত (২) নামে এক শিশু সন্তানের জন্ম হয়। এর পরপরই শুরু হয় যৌতুকের জন্য তাদের দাম্পত্য কলহ। এনিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিবাদ লেগেই থাকতো। শুক্রবার রাতে কলহ বিবাদের একপর্যায়ে স্বামী আলামিন লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে স্ত্রী মুসলিমা খাতুনকে গুরুতর আহত করে নিজ ঘরেই ফেলে রাখে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিজ ঘরেই মৃত্যু বরণ করে মুসলিমা খাতুন। খোঁজ পেয়ে প্রতিবেশীরা পাগলা থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুসলিমার রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার রাতেই নিহতের মা রোকেয়া খাতুন বাদি হয়ে মেয়ের জামাই আলামিন, শ^শুর মফিজ উদ্দিন ও শ^াশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে আসামি করে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহতের মা রোকেয়া খাতুন জানায়, বিয়ের পর থেকে আনোয়ারা বেগমের নির্দেশে আলামিন আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতো। এক বছর পূর্বে আনোয়ারা বেগম ও আলামিনের বেধড়ক পিটুনির পর আমি আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাই এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলাম। ওই সময় তাঁরা আর কখনো এরকম অত্যাচার, নির্যাতন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করায়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারিদের শাস্তি চাই।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ