• রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা : নীতিমালার কাগজে অধিকার, বাস্তবে বন্দী শৈশব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ভোলার নদী গুলোর মৎস্য অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গাজায় আবারও পাঠানো হচ্ছে ত্রাণবাহী নৌযান: ঘোষণা ফ্লোটিলার,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা আ. লীগের শাসনামলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

কোটি টাকার ব্রীজ পার হতে হয় কাঠের সাঁকো দিয়ে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

রিপোর্টার: / ১৩৮ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোটি টাকার ব্রিজ পার হতে হয় কাঠের সাঁকো দিয়ে। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার ও মহল্লাপাড়া যাতায়াতের ব্রীজের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ব্রীজের দুই প্রান্তে কাঠের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। এতে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। ব্রীজের দুই প্রান্তে মাটি ভরাটের কাজ শেষ করে ব্রীজটি জনসাধারনের চলাচলের উপযোগী করে দেয়ার দাবী জানান স্থানীয়রা। এদিকে ব্রীজের সংযোগ স্থলের জায়গা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে জটিলতা থাকায় মাটি ভরাটের কাজ আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
উপজেলা প্রকৌশলী নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার সংলগ্ন এ ব্রীজটির ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। ২১ সালের মে মাস থেকে ২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর সময়সীমা নির্ধারন করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে এখন পর্যন্ত এর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এ ব্রীজটি দিয়ে ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া, চিঙ্গুড়িয়া, দশকানী, ছোনখলা,
চরপাড়া, পশরবুনিয়া ও উত্তর লালুয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়া পায়রা কর্তৃপক্ষ ও শের-ই-বাংলা নৌঘাটির লোকজনদেরও এ ব্রীজটি ব্যবহার করতে হয়। অথচ এ ব্রীজের সংযোগ সড়কের মাটি ভরাটের কাজ অসমাপ্ত থাকায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সকলকে। এ নিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয়রা বিপরীতমূখী অবস্থানে রয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে জমির মালিকরা সংযোগ স্থলের জমি ছাড়তে অনিহা দেখাচ্ছে। তারা জমি ছেড়ে দিলে আমরা কাজ শেষ করতে পারি। এদিকে জমির মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা জানান, আমাদের ক্ষতিপূরন দিলেই জমি ছেড়ে দিবো। এমনকি তাদের কিছু ক্ষতিপূরন দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একমাস সময় চেয়েছিলো পটুয়াখালীর পিডি (প্রযেক্ট ডিরেক্টর)। কিন্তু দুইমাস চলে গেলেও এখন পর্যন্ত তারা কোন খবর নেইনি বলে ওই জমির একাংশের মালিক হিরন মৃধা জানান। দৃশ্যমান একটি ব্রীজ থাকলেও তার সুফল ভোগ করতে পারছেন না কেহ। এ সাঁকো দিয়েই মটরসাইকেল, অটোরিক্সা ও ভ্যানগাড়ীসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয় একাধিক পথচারী বলেন, জমি নিয়ে যে বিরোধ ছিলো শুনেছি তার সমাধান হয়েছে। তাহলে কি কারনে ব্রীজের সংযোগ স্থলে মাটি দিচ্ছে না সে বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়। অতিদ্রুত ব্রীজের কাজ শেষ করে জনগনের চলাচলের উপযুক্ত করে দিবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজটি অচল অবস্থায় পরে রয়েছে। সাধারন মানুষের ভোগান্তি ও দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্রীজের দুই প্রান্তে কাঠের সাঁকো সংযুক্ত করে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে জনগনের স্বার্থে ব্রীজটির সংযোগ স্থলের
মাটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
উপজেলা প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, জায়গা নিয়ে জমির মালিকদের সাথে জটিলতা থাকায় ব্রীজের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। তবে, তারা
জমি ছেড়ে দিলে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ