• বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্র গর্ভে বিলীন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শুরু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। শ্রীহীন হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।সমুদ্রে বিলীন হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় স্থান গুলো/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় কেঁচো সার উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলার লালমোহনে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

হারিয়ে যাচ্ছে ঢাকার সব জলাশয়, রক্ষায় উদ্যোগ নিন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ১৬০ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩


অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দখলদারি ও আবাসন চাহিদার কারণে সাড়ে ৩ দশকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ১ হাজার ৯শ’ সরকারি-বেসরকারি পুকুর ও জলাধার। জলাধার রক্ষায় আইন থাকলেও সেগুলো না মানায় একের পর এক ভরাট হয়ে গড়ে উঠছে আবাসন। সরকার জলাধার রক্ষায় ২০০০ সালে আলাদা আইন করলেও এর কোনো সুফল নেই। অথচ এ আইনে বলা আছে, কোনো অবস্থায় খাল, বিল, নদী-নালা, পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাশয়ের স্বাভাবিক গতি ও প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না। মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ঢাকায় পুকুরের সংখ্যা ছিল ২ হাজার। ১৯৮৯ সালের দিকে সেটা কমে ১ হাজার ২শ’তে নেমে আসে। ২০০৭ সালে মৎস্য ভবন থেকে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, পুকুরের সংখ্যা ২শ’। তবে প্রকৃত পক্ষে এর সংখ্যা আরও অনেক কম হবে। জলাধার রক্ষায় আইন থাকলেও সেগুলো না মানায় একের পর এক ভরাট হয়ে গড়ে উঠছে আবাসন। সরকার জলাধার রক্ষায় ২০০০ সালে আলাদা আইন করলেও এর কোনো সুফল নেই। আইনে বলা আছে, কোনো অবস্থায় খাল, বিল, নদী-নালা, পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাশয়ের স্বাভাবিক গতি ও প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না। এমনকি সড়ক-মহাসড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকালেও প্রাকৃতিক জলাশয়, জলাধার, খাল-নদী ইত্যাদির স্বাভাবিকতা নষ্ট করা যাবে না। জনস্বার্থে ও একান্ত প্রয়োজন হলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু জলাধার আইনের তোয়াক্কা না করেই জলাশয়গুলো দ্রুত দখল ও ভরাট করে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৮৫ থেকে এ পর্যন্ত হারিয়ে গেছে ঢাকার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল। ঢাকা ওয়াসার তথ্যমতে, রাজধানীর ৪৩টি খালের ১৭টির হদিস নেই। বাকি ২৬টি খালের ৫টি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে অসাধু চক্র। এগুলো হচ্ছে- মান্ডা, হাজারীবাগ, কসাইবাড়ি, সাংবাদিকলোনা ও বাইশ টোকি খাল। বেদখল খাল উদ্ধার করতে নেমে জেলা প্রশাসন ও ওয়াসার কর্মকর্তারা তালিকাভুক্ত এসব খালের অস্তিত্বই খুঁজে পাঁচ্ছেন না। অন্যদিকে ব্যক্তিমালিকানায় চলে যাওয়া খালগুলো ফিরে পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। খালগুলো দখলের পর অবকাঠামোর এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে যে, ওই স্থানে কখনও খাল ছিল তা বোঝার কোনো উপায় নেই। জলাশয় ভরাটের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সাল নাগাদ ঢাকায় জলাশয় ও নিভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নিজেদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই এসব জলাধার আমাদের রক্ষা করতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে আরো নজরদারি বাড়াতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ