• রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা : নীতিমালার কাগজে অধিকার, বাস্তবে বন্দী শৈশব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ভোলার নদী গুলোর মৎস্য অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গাজায় আবারও পাঠানো হচ্ছে ত্রাণবাহী নৌযান: ঘোষণা ফ্লোটিলার,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা আ. লীগের শাসনামলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

এ বছর কলাপাড়ার কোরবানীর বাজার আসছে কালু-চান্দু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

মোঃমনির হাওলাদার / ১৭৫ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

 

কলাপাড়া উপজেলায় এই প্রথমবারের মত কোরবানীর জন্য বাজার ধরতে কালু ও চান্দু নামের এই দুই ভাই বিশালদেহের দুটি ষাঁড়কে প্রস্তুত রেখেছেন সিদ্দিক মীর নামের এক কৃষক । কালুর ওজন ১ টন এবং চান্দুর ওজন ২২ মন হবে বলে এমন ধারণা দিয়েছেন। যার বাজার মূল্য কালু ১১ লক্ষ টাকা আর চান্দুর ৭ লক্ষ টাকা হাঁকিয়েছেন কৃষক পরিবার। এবার দক্ষিণাঞ্চলে কালু ও চান্দু কোরবানির বাজার কাপাবে এমন ধরনা করছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার মহিপুর থানার লাতাচালী ইউনিয়নের থঞ্জুপাড়া গ্রামে শাহিওয়াল ও হলিস্টিন জাতের বিশালদেহী ষাঁড় কালু-চান্দুকে দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা আসছেন তার বাড়িতে। ইতো মধ্যে কালুকে কিনলে সাথে একটি খাসি উপহার দেয়ার ঘোষণাও দেন এই খামারী ছিদ্দিক ।
সিদ্দিক মীর পেশায় একজন কৃষক। তিনি জানান, ৪ বছর আগে থেকে দেশীয় একটি গাভীর সাথে কালুকে ৮০ হাজার টাকা দামে কিনে পালন শুরু করে। পরে বছর কপালে চাদ নিয়ে জন্ম দেন আর একটি ষাড় লালন পালন করতে করতে বিশাল বড় হতে থাকে এর পর আমি গরু প্রতি যত্ন নেই এবং পশু ডাক্তারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আমি খুব যতœ দেই গরুর প্রতি। বর্তমানে ঔ গাভীটি আর দুটি বাচ্চা আছে তাও আমার পরিবার নিয়ে দেখা শুনা করি। বড় এই ষাড় দুটি আলাদা ঘরে রাখি প্রতি দিন তাজা ঘাস ও ভুট্টা গুড়া খাওয়াই মাশাল্লাহ দেখত দেখতে অনেক বড় হইছে আসলে এত বড় হবে তা ভাবতেও পারি নাই। এখন পর্যন্ত তিনি এই গরু দুইটির পিছনে খরচ করেছেন প্রায় দশ লাখ টাকা।
তবে আদর-যত্নে কালু-চান্দুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য খেয়াল রাখছেন সিদ্দিকের পরিবারের সবাই। সারাক্ষণ মাথার উপরে ফ্যান চালানো, দৈনিক ২-৩ বার গোসল করানো সব মিলিয়ে তাদের সেবা-যত্নে ত্রুটি রাখে না তাঁরা।
সিদ্দিক মীর আরো বলেন, আমি কালুকে বিক্রি করে তার সাথে একটি খাসি ফ্রি দিবো। তবে চান্দুর সাথে কিছু ফ্রি নেই। আমি সখের বসে পালন শুরু করে আজ আমি সফলতা পেয়েছি তবে এখন কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারলে আমি সার্থক।
প্রতিদিন ওই ষাড় দুটি বিয়ে কষ্ট করতে যাওয়া ছিদ্দিক বড় ছেলে বলেন, প্রথমে আমরা একদম ভাবি নি যে ওই বাচ্চা দুই এত বর হবে। বাবায় দেখাশোনা করত আমরা কোন দেখাশোনা করতাম না যখন দেখি উত্তর অঞ্চলের গরুর খামারে যে সব বড় বড় গরু দেখি অথচ ওই গরু দেখি আমাদের বাড়ীতেও তখন থেকে বেশী গুরুত্এব দেই জানেন গত এক বছর যাবৎ বেড়াতে যেতে পারি না এই গরুর জন্য তিনি থেকে চার জন লোক লাগে এই গরু সামাল দিতে। এখন ভালো ভাবে বেচাকিনা করতে পারলেই হয়।
আলমগীর হোসেন নামের এক প্রতিবেশী বলেন, আমরা অত্র এলাকায় এ রকম ষাঁড় আর দেখিনি। গত কয়েকবছরেও এই এলাকায় তৈরি হয়নি, তাই বেশ ভালো লাগছে এবং অনেক লোক এগুলোকে দেখতে এসেছে। আমরা প্রতিবছর বাজারে এত বড় ষাঁড় আসলে দেখতে যেতাম কিন্তু এখন নিজের এলাকায় দেখছি।
কলাপাড়া উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গাজী শাহ আলম বলেন, কৃষক সিদ্দিকের এই ষাঁড় দুটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম তার পরিশ্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাঁকে অনুসরণ করে যারা পশু পালনে আগ্রহী হচ্ছে তাদেরকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো । এবছর উপজেলায় সর্বমোট কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৯৮২ টি পশু।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ