কয়লা সংকটে চারদিন ধরে বন্ধ পায়রা তাপবিদুৎ কেন্দ্রের এক ইউনিট।এখন যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে তা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিটটি চলতে পারবে তিন জুন পর্যন্ত। ডলার সংকটে কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে বন্ধ হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বংলাদেশ ব্যাংক ও সারকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ করতে পারবেন তারা। দুএক দিনের মধ্যেই এলসি ওপেন করা হবে। তবে এলসি ওপেন করার পরও কয়লা আসতে অন্তত ২৫ দিন সময় সময় লাগবে। এ সময় বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর কয়লা আসলে জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
চিন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশিদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি(সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দারায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে।
মনির হাওলাদার কলাপাড়ার পায়রা বন্দর।