স্টাফ রিপোর্টারঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ক্ষুধার্ত এক বৃদ্ধা তার পূত্রবধূর কাছে খাবার চাইলে এবং বয়স্ক ভাতার টাকা ফেতর চাইলে সোমবার বিকেলে চরম নির্যাতন করেন তার পূত্রবধূ এবং ঘরের বাইরে ফেলে রাখে। আগৈলঝাড়া থানার ওসি এ ঘটনা জানার সাথে সাথে থানার এস আই মোঃ আব্বস উদ্দিন,ও মোঃ ফরিদ উদ্দিনের মাধ্যমে বৃদ্ধার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র পৌঁছে দিলেন এবং আরো জা প্রয়োজন তাই দেওয়ার কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার ১৬ ই জুন রাতে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন সাথে ওসি তদন্ত মোঃ মাজহারুল ইসলাম,এস আই মোঃ আব্বাস উদ্দিন, এস আই সুশান্ত, এ এস আই মামুন,মোঃ ফরিদ উদ্দিনদের নিয়ে যান পথে কাচা রাস্তা কাদা পানি হওয়ায় কোনো যানবাহন ব্যবস্থা না থাকায় জুতা খুলে পায়ে হেঁটে ৭ থেকে ৮ কিঃ মিঃ পথ পাড়ি দিয়ে সেই অসহায় বিধবা নির্যাতীত বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে যান, আগৈলঝাড়ার ওসি আফজাল হোসেন আবারো প্রমাণ করলেন পুলিশ জনগণের সেবক পুলিশ জনগণের বন্ধু, ওসির এই মহানুভবতায় সাধারণ মানুষ ধন্যবাদ জানান। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় একাধিক ও ক্ষুধার্ত বৃদ্ধা জ্ঞানদা রানী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের মৃত সূর্যকান্ত সরকার মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী জ্ঞানদা রানী (৯৫) ছেলে জগদীশ সরকারের সঙ্গে থাকেন। দরিদ্র পরিবার হওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জ্ঞানদা রানীকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়। যা দিয়ে তিনি ৩ মাস পরপর বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন করে পূত্রবধূ শিখার কাছে জমা রাখেন। সোমবার বিকেলে ক্ষুধার্ত জ্ঞানদা রানী পূত্রবধূ শিখা রানীর কাছে খাবার ও বয়স্ক ভাতার টাকা চাইতে গেলে শিখা শাশুড়িকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে।
অফিযোগ আছে, এর আগেও কারণে-অকারণে শিখা ও জগদীশ ওই বৃদ্ধাকে প্রতিনিয়ত মারধর করত। বাড়ির ভাইয়েরা ও পাড়ার লোকজন এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকেও মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয় শিখা রানী ও তার স্বামী জগদীশ সরকার।
জ্ঞানদা রানী আরো জানান, ২ মাস পূর্বে আমি অসুস্থ হয়ে পরলে করোনাভাইরাসের কথা বলে ঘরে না রেখে বাড়ির পাশে একটি অব্যবহৃত ঘরের সামনে রেখে দেয়। এ ঘটনায় জ্ঞানদা রানী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সোমবার রাতেই বলে জানা গেছে।