পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র জায়গা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় ও অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের বেড়িঁবাধ সংলগ্ন জায়গা ভাই ভাই ব্রিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান দখলে নিচ্ছে। শুধু
তাই নয়, বেড়িঁবাধের পাশে বসবাসরত ভ‚মিহীনদের নিকট থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা ক্রয় করছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। যুব উন্নয়নের নামে একটি ঘেরও দখলে নিয়েছে তারা। এমনই অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এনিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে উৎকন্ঠা ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তবে, এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রায় কয়েক একর জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে স্থানীয় ভাই ভাই ব্রিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারকাঁটা ও টিনের বেড়া দিয়ে সেই জায়গাগুলো দখলে রেখেছে। আর কিছু কিছু জায়গায় টিনের ঘর তুলে ইট ভাটার শ্রমিকদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসরত ভুমিহীনদের কাছ থেকে ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা ক্রয় করে তা দখলে নিচ্ছে তারা বেড়িঁবাধের পাশে স্থায়ী বিল্ডিংঘর উঠিয়ে তা ব্যক্তিগত অফিস হিসেবেও ব্যবহার করছে। ভাই ভাই ব্রিকস’র ভাটার সামনেই একটি ঘের রয়েছে। যা যুব উন্নয়নের ঘের হিসেবেই এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত। অথচ এ ঘেরটিকে অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটি।
এবিষয়ে ভাই ভাই ব্রিকস’র স্বত্তাধিকারী আমান মৃধা’র নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার রেকর্ডিয় জমির দাগের মাথায় এ ঘেরটি অবস্থিত তাই তা
দখলে নিয়েছি। তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা ক্রয় করে দখলে নেয়ার বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে তার কোন সদুত্তর না দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোবাহান বলেন, বেড়িবাঁধের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বসবাসরত ভ‚মিহীনদের নিকট থেকে ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে জমি ক্রয় করছে ভাই ভাই ব্রিকসের মালিক আমান মৃধা। পরে সেই জায়গায় তাঁরকাঁটা ও টিন দিয়ে বেঁড়া দিয়ে দখলে নিচ্ছে। এছাড়া যুব উন্নয়নের একটি ঘেরও দখলে নিয়েছে। কিভাবে আর কোন শক্তির মাধ্যমে তারা এ অবৈধ কাজগুলো করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম। সরকারি জায়গা ক্রয় করে তা অবৈধভাবে দখলের কোন সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ। খুব শিঘ্রই এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।