বরিশালের মুলাদী উপজেলায় রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরে ২ যুবলীগ নেতাকে হত্যার চেষ্টায় অতর্কিত হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।
গত ২২ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো নাজিরপুর সাহেবের চর এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল শিকদার ও একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি আরিফ বেপারী।
বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলার আঘাতে যুবলীগ নেতা ফয়সাল শিকদারের কপালের উপর ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে যে কোন সময় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত আরিফ বেপারি জানান, ২ নং নাজিরপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের সাথে বিএনপি’র সাথে রাজনৈতিক কোন্দল লেগেই আছে । প্রায় সময় নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি নূরে আলম পিন্টু শিকদার সহ তার সহযোগীরা এলাকায় মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এসবের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারি ফয়সাল শিকদার প্রতিবাদ করা হলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
এরই জের ধরে, ঘটনার দিন মঙ্গলবার সাড়ে ছয়টার দিকে যুবলীগ নেতা ফয়সাল শিকদার ও আরিফ বেপারী মুলাদী থেকে দলীয় কার্যক্রম শেষে নাজিরপুরে আসার পথে প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাদের মোটর সাইকেল গতিপথ রোধ করেন বিএনপি নেতা নুর আলম পিন্টু শিকদারসহ তাদের সহযোগীরা। এক পর্যায়ে পিন্টু শিকদারের নেতৃত্বে তার সহযোগী নাঈম, ইমন, নিপু, আবির, হাফেজ, সুজন, তুহিন, ইউসুফ মল্লিক সহ অজ্ঞাত নামা একদল সন্ত্রাসী বাহিনী ফয়সাল শিকদারকে হত্যার চেষ্টায় অতর্কিত হামলা চালায়, এ সময় ফয়সালের সাথে থাকা আরিফ বেপারী তাকে বাঁচাতে আসলে তার উপরও হামলা চালান নাঈমসহ অন্যান্য সহযোগীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে সেখানে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে তাদেরকে বরিশাল হাসপাতালে রেফার করেন সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ জানান এখনো আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।