• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশীয় কাগজশিল্পের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হবে,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সার্কের স্থবিরতায় চীন-পাকিস্তানের নতুন জোট পরিকল্পনা, আলোচনায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দ্রুত কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার কাল,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এনবিআরে সব চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা—গ্রেজেট প্রকাশ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ১ জুলাই : আওয়ামী লীগ শাসন পতনের অভূতপূর্ব সূচনা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনে ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি গঠন বিএনপির,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা প্লাস্টিক দূষণ প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও বন্যপ্রাণীর জন্য হুমকি,,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা স্মল লোনস, বিগ ড্রিমস : মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ ব্যাংক এবং দি গ্লোবাল মাইক্রোফাইনান্স রেভল্যুশন শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন,,,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচারপত্র, লিফলেট, ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


অবশেষে সেই বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এম জাফরান হারুন।। / ১৭০ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩


এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী ।।

পটুয়াখালীর বাউফলে সেই আলোচিত একটি হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আল-রাফি (১৩) বলাৎকারের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া ও নুরানি কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। নিহত শিক্ষার্থী আল-রাফি, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রেজাউল করিমের ছেলে।

ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শিশুটিকে দিনের পর দিন বলাৎকার করায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে শিশুটির বাবা মোঃ রেজাউল করিম অভিযোগ করেন। মৃত্যুর আগে শিশুটির বলে যাওয়া ঘটনার বিবরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি ওই মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করত। শিশুটির বাবার অভিযোগ, মৃত্যুর আগে তাঁর ছেলে জানিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে প্রতিনিয়ত তাঁর ছেলেকে ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করতেন ওই শিক্ষক। এতে শিশুটির পায়ুপথে ক্ষত তৈরি হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক তাঁদের কিছু না জানিয়ে নিজে বিভিন্ন ওষুধ কিনে দিতেন। সম্প্রতি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটির বাবা রেজাউলকে খবর দেন ওই শিক্ষক। তিনি ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এদিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যায় ওই শিক্ষার্থী। নিহত ওই ছাত্রের বাবা মোঃ রেজাউল এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মোঃ সেলিম গাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তার ফোন বন্ধ থাকায় কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ