
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খাওয়ারখোপ ইউনিয়নের ইজি পিপি প্লাস প্রকল্পের অধীনে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসৃজনের সড়কের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ না করে শ্রমিকদের দিয়ে নিজের খেত খামারে কাজ করালেন ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম।কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন,রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম তার নিজের বাড়িতে খেত খামার ও বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার কাজ করেছেন ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পের নিয়মিত ০৫ জন অতি দরিদ্র শ্রমিক দিয়ে। রাস্তার সাইট ভরাটের কাজ ফাঁকি দিয়ে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম তাদেরকে নিজের খেত খামারে কাজে লাগিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন,সকাল ৮টার দিকে তারা রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে গেলে তাদেরকে ডেকে নিজের খেত খামারে কাজ করতে বলে । অন্যথায় শ্রমিকদের বেতন বন্ধ করে দেব বলে হুমকি দেন ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম। তাই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে কাজ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আগের তাদের নিয়মিত হাজিরা খাতায় প্রেজেন্ট ওঠে কিনা।রাস্তা সংস্কার ও খাবিকা প্রকল্প কাজ করেছি কিনা সব উপজেলা প্রশাসনে ভালো জানে। এটি একটি আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ সম্মান হানি করা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তার দাবী।
ছাত্রনেতা আল মামুন বলেন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের অবহেলিত গ্রামের মধ্যে অনেক রাস্তা আছে, কিস্তুু কর্মসৃজন লোক নিয়ে রাস্তা সংস্কারে কাজ না করে উল্টো নিজ বাড়িতে খেত খামারে কাজ করাচ্ছে বলে অনেক লোক জন আমাকে বলে। আমি তাদের স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে লিখিত আকারে একটি অভিযোগ দিয়েছি।
এই বিষয়ে কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি শনিবারে সরেজমিনে তদন্ত করতে যাবে। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জহির আহম্মদের বাড়ি হইতে হোসেন সওদাঘর বাড়ি পর্যন্ত ও আলি আহম্মদের দোকান হইতে চৌধুরী খামার পর্যন্ত টিয়ার খাবিকা প্রকল্প নাম দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্ধোধন আর কেউ কাজ করতে দেখা যায়নি।স্যাটেলাইস স্কুল আব্দুর রহমানের দোকান হইতে পশ্চিম গুনিয়া কাটা কালুর ঘোনা পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার ও বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নয় ছৈ করে আত্মৎসাত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।