অনলাইন থেকে সংগ্রহীতঃ বরিশাল নগরীজুড়ে চলছে শিল্পী ও মান্না সুমন ওরফে সুমন দম্পতির রমরমা মাদক ব্যবসা। তাদের মাদকের ছোবলে শুধু যুব সমাজই নয়, তরুণ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনও বিষাক্ত হয়ে উঠছে। যার বিষে ধ্বংস হচ্ছে আগামী প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যত।
পুরো বরিশাল নগরী শিল্পি-সুমনের মাদকের ভয়াল নেটওয়ার্কের আওতায়। কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী শিল্পী? কি তার অলৌকিক ক্ষমতা? যার বলে বলিয়ান হয়ে এই শিল্পী এখনও প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদকের জাল বিছিয়ে নির্বিঘ্নে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে আগামী দিনের পথ প্রদর্শকদের জীবন। আর প্রতিটি জীবনের ধ্বংসের সাথে সাথে ধ্বংস হচ্ছে প্রতিটি পরিবার। আর প্রশাসনের এই ব্যর্থতার দায়ভার বহন করতে হচ্ছে পুরো জাতিকে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বর্তমানে শুধু গরীব, মধ্যবিত্ত, অর্ধশিক্ষিত পরিবারেই না দেশে স্বচ্ছল, বিত্তশালী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিবারের সদস্যদরাও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তারপরেও মাদকের বিষয়ে কেন এই অবহেলা? এমনটাই প্রশ্ন বরিশাল নগরির সচেতন মহলের। সূত্রে জানাযায় গেছে, বর্তমানে শিল্পি-সুমন দম্পতি পুরো বরিশাল নগরীতে একচ্ছত্র আদিপত্য বিস্তার করে নগরীর ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় মাদকের বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এক্ষেত্রে তারা প্রশাসনকে ধোকা দেওয়ার জন্য কিছুদিন পর পর তাদের বাসস্থান পরিবর্তন করে। শিল্পী-সুমন দম্পতি কখনও কেডিসি কখনও নগরীর পলাশপুরের মোহাম্মাদপুর এলাকায় আবার কখনও সিএন্ডবি পুল এলাকায় বসবাস করে। এক্ষেত্রে কখনও তারা কোতয়ালী মডেল থানা আবার কখনও কাউনিয়া থানা এলাকায় অবস্থান করে। এতে পুলিশ প্রশাসনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় তাদের আটক করতে।
গোপন সূত্রে জানাযায়, শিল্পি কেডিসি এলাকার গাঁজা নজরুলের স্ত্রী ছিল। আর কেডিসি এলাকায় ছিল তাদের রমরমা মাদক বানিজ্য। তখন এই দম্পতির বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় ৫-৬টি মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে শিল্পি আরেক মাদক ব্যবসায়ী মান্না সুমন ওরফে সুমনকে বিয়ে করে নগরীর পলাশপুরের মোহাম্মাদপুর এলাকায় বসতি গড়ে মাদকের ব্যবসা শুরু করেন। এক্ষেত্রে তারা কাউনিয়া থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্তাদের ম্যানেজ করে ধীরে ধীরে বরিশাল নগরীজুড়ে তাদের মাদক বিক্রির জন্য সিন্ডিকেট তৈরী করে।
এ বিষয়ে সুমনের মোবাইলে কল দিলে শিল্পি-সুমন সোজাস্যাপ্টা জবাব দেন, তারা সকলকে ম্যানেজ করেই মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। উল্লেখ্য ২০১৭ সনের শেষের দিকে সরকার যখন মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় তখন তারা কিছুদিন গা ঢাকা দেয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার শুরু হয় তাদের মাদকের জমজমাট আসর।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে মোহাম্মাদপুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, শিল্পি-সুমন দম্পতি এলাকার যুব সমাজের পাশাপাশি পুরো বরিশালের যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়না। কি কাউনিয়া থানা পুলিশ, কি ডিবি পুলিশ বা কি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকেই দেখা যায় না।
তবে তাদের বেশিই অভিযোগ কাউনিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। কেননা কাউনিয়া থানা থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটারের মধ্যে তাদের আবাসস্থল হলেও অভিযানের ক্ষেত্রে তারা নিরব ভূমিকা পালন করে। আর এই সুযোগ নিয়ে শিল্পি-সুমন দম্পতি তাদের ইয়াবা, গাঁজার ব্যবসা জমজমাট করে তুলছে।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ সত্য নয়। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে সামনের দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।