• রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা,,, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না”— বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ঘোষণা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ,,, জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৪৯ নওগাঁ-৪ (মান্দা) সংসদীয় আসনের ধানের শীষের প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু—-দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে দিনমজুর হত্যার বিচারের দাবীতে লাশ নিয়ে সড়কে মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন,কক্সবাজার থেকে। / ১৪৬ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ  আমিন।। 
কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়াইক্যং এলাকায় রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গোলাম আকবর (৪০) নামে এক দিনমজুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সড়কে নিহত ব্যক্তির মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় মানববন্ধন করে বিচারের দাবি করেন।
নিহত গোলাম আকবর লালু টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল তেচ্ছিব্রিজ এলাকার নুর আহমেদ নুরুর ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় নিহত গোলাম আকবরের স্ত্রী বসতভিটা পরিষ্কার করে ময়লায় আগুন দেন। ফলে পার্শ্ববর্তী ঘরের নজির আহমদের আম গাছে আগুনের তাপ লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নজির আহমদ, নুর আহমেদ, সোলতান আহমেদ, আবছার কবির আকাশসহ ৭-৮ জন মিলে গোলাম আকবরকে দোকান থেকে ডেকে বেদম মারধর করেন। স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে গোলাম আকবরের স্ত্রীও মারধরের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে গোলাম আকবর মারা যান।
গোলাম আকবরের হত্যার বিচারের দাবিতে তার মরদেহ সড়কে রেখে প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে শত শত গ্রামবাসী মানববন্ধন করেন। এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লোকজনের হাতে ‘গোলাম আকবর হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গোলাম আকবরের মরদেহ তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ছোট ভাই শাহ আলম বলেন, আম গাছে সামান্য তাপ লাগার কারণে আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা বড় লোক। আমরা দিনমজুর মানুষ। এই দেশে আমাদের বিচার পাওয়া কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে সড়কে আসলাম।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া খোরশেদ আলম বলেন, নির্দয়ভাবে দিনমজুর গোলাম আকবরকে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আলমগীর নামে একজন বলেন, মামলা হওয়ার পর অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পুলিশ চাইলে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারত। আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। আমরা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার চাই।
নিহত গোলাম আকবরের ৭ বছরের কন্যা রায়সা মণি বলেন, আমার আব্বা ঘুম থেকে উঠে না কেন? ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না। আব্বাকে ওরা মারছে তাই রাগ করে ঘুমিয়ে আছে মনে হয়। আমার আব্বাকে যারা মেরে ফেলছে  তাদের বিচার চাই।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী বলেন, এখনো আমরা থানায় অভিযোগ পাইনি। তারপরও আমরা আসামিদের আটকের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ