মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
বৈশাখের খরতাপে দেশব্যাপী বাড়ছে গরমের তীব্রতা। পর্যটন জেলা কক্সবাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পাশাপাশি অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভের পানি উত্তোলনে কক্সবাজারে দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
অনেক পাড়ার নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ রয়েছে। পানি উঠছে না বৈদ্যুতিক মোটরেও। পানির জন্য গ্রামের পর পর গ্রামে লোকজনের মধ্যে হাহাকার চলছে। যে পাড়ার নলকূপে পানি উঠছে, সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে এসে লাইন ধরে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন।
পানি নিচে নেমে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে লবণাক্ততা। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব পড়ছে চরম। এ অবস্থা চলতে থাকলে পানিতে ই-কোলাই ভাইরাস বেড়ে গিয়ে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুপেয় পানি সংকট উদ্বেগজনক জানিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, কক্সবাজারে সুপেয় পানি সংকট মোকাবিলায় তারা কাজ করছেন।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) কক্সবাজারে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় সূত্রমতে, ২০১৭ সালে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করতে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে তিন হাজার অগভীর, ৮০টি গভীর এবং এনজিও সংস্থা আরও ২০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। প্রতিদিন রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ৩০ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা হচ্ছে শুধু দুই উপজেলায়। অতিমাত্রায় পানি উত্তোলন ও তীব্র গরমের কারণে রোহিঙ্গা অতিকষ্টে দিনাতিপাত করিতেছেন বলেও জানিয়েছেন অনেকেই। কক্সবাজার জনস্ব্যাস্হ প্রকৌশলী আরো জানান,টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজার শহর ও উপকুলীয় এলাকায় সূপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে এমন এমন শঙ্কায় ওয়াটার এনার্জি লাইভলিহুড(ওয়েল) নামে একটি প্রকল্প করা হয়েছে। চলমান রয়েছে রেইন হ্যার্ভেষ্টিং প্রকল্প। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সূপেয় পানির সংকট দূর হবে।একই সংগে সাগরের লবনাক্ত পানি পরিশোধন করে কিভাবে ব্যাবহার করা যায় তা নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের গবেষনা ঠিম কক্সবাজারের পানীয় জলের সংকট নিরসনের কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ,কক্সবাজার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ।