• বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকার রাস্তায় দেশীয় প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানোর উদ্যোগ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ১৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে সিম ব্যবহারের নতুন নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশী পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয়া হবে না: সিইসি,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক বিষয়ে বৈঠকে ভালো ফলাফল প্রত্যাশা অর্থ উপদেষ্টার,,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধানের সাক্ষাৎ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ার মহিপুরে ৬৪০ পিছ ইয়াবাসহ আটক-১/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল। কলাপাড়ায় বিরামহীন বৃষ্টিতে বেড়েছে দুর্ভোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলায় আহত-১/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আরাফাত জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, কারণ দর্শানোর নোটিশ!/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কমলনগর ভুলুয়া ব্রিজ ঘিরে গড়ে উঠছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।


এমপিওভূক্ত না হওয়ায় শিক্ষকদের মানবেতর জীবন,,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৮০ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪


স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হক। ১৯৯০ সালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার পীরপালি হাজী রহিম উদ্দিন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় যোগদান করেন। জন্ম সাল অনুযায়ী আর মাত্র তিনবছর পর কর্মজীবন শেষ করে তিনি অবসরে যাবেন। কিন্তু শিক্ষকতা পেশায় তার ভাগ্যে আজও বেতন জোটেনি। এ অবস্থায় বেতন ছাড়াই কর্মজীবন শেষ করতে চলেছেন এই শিক্ষক। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশির দশকে মান্দা উপজেলায় ৭৪টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ৬৪টি মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেছে।  এসব মাদ্রাসার শিক্ষকেরা ভিন্ন পেশায় জীবন-যাপন করছেন। বেতন ছাড়াই অবশিষ্ট ১০ মাদ্রাসার শিক্ষকেরা এখনও পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা পাঁচ্ছেন সম্মানীভাতা।  সূত্রটি আরও জানায়, এ বছরের মার্চ থেকে প্রত্যেক শিক্ষককে ২৩০০ টাকা ও প্রধান শিক্ষকদের ২৫০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আগস্ট মাসে সহকারী শিক্ষকদের ৩৩০০ টাকা ও প্রধান শিক্ষকদের ৩৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ভাতাপ্রাপ্ত এসব প্রতিষ্ঠানে একজন করে শিক্ষককে এ সুবিধা থেকে আজও বঞ্চিত রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই হারে উপবৃত্তি পেত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ২০২০ সালে হঠাৎ করেই তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। উপবৃত্তি না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পীরপালি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক শাহজাহান আলী দেওয়ান বলেন, ‘আমার মাদ্রাসায় ৩২০জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পেত। উপবৃত্তি বন্ধ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে ক্রমেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। বর্তমানে ১৪০ থেকে ১৫০ শিক্ষার্থী এখনও নিয়মিত আছে।’ এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ে কোনো মানুষের পক্ষে ৩৩শ টাকায় জীবনধারণ করা যায় না। একজন দিনমজুরও মাসে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করেন। অথচ শিক্ষকেরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদেরও স্ত্রী-সন্তান আছে। আমরাও একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকতে চাই।’   হোসেনপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক তমিজ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যে সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান, ইবতেদায়ি শিক্ষায় একই সিলেবাস পড়ান তারা। তবে এর বাইরে আরবিসহ ধর্মীয় কিছু সিলেবাসে তারা বেশি পাঠদান দিয়ে থাকেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের চেয়ে বেশি পাঠদান করেও তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকেরা একই সিলেবাসে পাঠদান করিয়ে বর্তমান স্কেলে ১৫ হাজার টাকা বেতন পান। আর তারা পাঁচ্ছেন ৩৩০০ টাকা। যা নিতান্তই বৈষম্য। এই টাকা দিয়ে অভাব অনটনের সংসার আর চলে না। পারইল ফেরিঘাট স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো কীভবে চলছে কেউই তার খোঁজ খবর রাখেন না। এসব মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকদের কোনো বেতন নেই। মাদ্রাসাগুলোতে নেই শিক্ষাসামগ্রী ও আসবাবপত্র। নেই রেজিস্ট্রেশন। কত টাকা বেতন পাই তা কাউকে বলাও যায় না। এমপিওভুক্ত হলে এ লজ্জা থেকে আমরা প্রাণে বেঁচে যেতাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ