কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
মৎস্যবন্দর খ্যাত মহিপুরে চিহ্নিত ভুমিদস্যুরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জোরপূর্বক বসতবাড়ী দখল করে সেখানে দোকান ঘর তৈরী করেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যু জালিয়াত চক্রের হোতা ইসমাইল সিকদার। এমনটাই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী আবুল বাশার। এবিষয়ে মহিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবুল বাশারের পিতা মো. সোহরাব হোসেন।
অভিযোগে জানা যায়, মহিপুর থানার বিপিনপুর গ্রামে সাগর সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় ভুক্তভোগী আবুল বাশারের ক্রয়কৃত জমি ও বসতবাড়ী রয়েছে। তিনি ২০১২ সালে বায়না ও ২০১৪ সালে রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে কুদ্দুস সিকদারের কাছ থেকে ০৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে মালিক হন। পরে বসতঘড় তৈরী করে বসবাস করতে থাকেন। ওই জমি তার নামে বিএস রেকর্ডভুক্ত হয়। কিন্তু স্থানীয় চিহ্নিত ভুমিদস্যু ইসমাইল সিকদার, ফারুক সিকদার ও এরশাদ সিকদার চক্রের কুদৃষ্টি পরে তার ওইটুকু জমির উপর। তারা বিভিন্নভাবে ওই জমি দখল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অদৃশ্য শক্তির অলৌকীক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পন্থায় আবুল বাসারের বসতবাড়ী দখলে নেয়। ভুক্তভোগী আবুল বাশার এখন সব কিছু হাড়িয়ে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ওই জমির পূর্ব মালিক মহিপুর যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. কুদ্দুস সিকদার বলেন, তিনি ০৫ শতাংশ জমি আবুল বাশারের কাছে বিক্রি করেন। পরে সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে সীমানা পিলার দিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ইসমাইল সিকদারের এখানে কোন জমি নাই। সে বিপিনপুরের কাদের মিয়ার কাছ থেকে জমি কিনেছিল। তার জমি বিলের মাঝে রয়েছে। ০৫ আগষ্টের পর আবুল বাশার এলাকায় না থাকায় জোরপুর্বক রাতের আধারে এ জমি ও বসতবাড়ী দখল করে নেয়।
জাতীয়তাবাদী যুবদল মহিপুর থানা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ইসমাইল সিকদার, ফারুক সিকদার ও এরশাদ সিকদার বিএনপির কেউ না। তারা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমি দস্যু। অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করাই তাদের নেশা ও পেশা। তিনি আরো বলেন, আমার নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদারের কঠিন নির্দেশনা ভুমিদস্যু, দখলবাজ যারাই হোক তাদের নির্মূল করতে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিরোধ করতে হবে।
বিপিনপুর গ্রামের আ: কাদের মিয়া বলেন, ইসমাইল সিকদারের জমি বিলের মাঝে। আমার কাছ থেকে ২০ শতাংশ জমি কেনে। এখনো ০৭ লাখ টাকা পাই ওদের কাছে। ওরা খুব খারাপ লোক। আইন কানুন মানে না।
অভিযুক্ত ইসমাইল সিকদার বলেন, ওই জমি আমার ক্রয়কৃত সম্পদ।
মহিপুর থানার পুলিশ উপ পরিদর্শক মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।